যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উবারের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ হাজার যৌন হামলার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৮ সালে তুলনামূলকভাবে অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যাত্রার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গড় পরিমাণ কমেছে ওই বছর। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, উবারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার হার বাড়ছে। সম্প্রতি লন্ডনে নিষিদ্ধ হয়েছে উবার। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, উল্লেখিত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ কোটির বেশি ট্রিপ স¤পন্ন করেছে তারা। এসব ট্রিপের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮১টি যৌন হামলা ঘটার অভিযোগ ওঠেছে।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে ট্রিপের সংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। ওই বছর যৌন হামলার অভিযোগ ওঠে ২ হাজার ৯৩৬টি। পরবর্তী বছরে ট্রিপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৩০ কোটিতে। একইসঙ্গে যৌন হামলার অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৫টিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ট্রিপের ৯৯.৯ শতাংশই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছিল না। প্রায় অর্ধেক ঘটনায় যাত্রীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। উবার জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা পর্যালোচনাকারী প্রথম প্রতিবেদন ছিল এটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আইনি কর্মকর্তা টনি ওয়েস্ট বলেন, স্বেচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা সহজ নয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই যৌন নির্যাতনের মতো ব্যাপারে কথা বলতে চায় না। এতে নেতিবাচক খবর প্রকাশ ও সমালোচিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু আমরা মনে করি, এখন নতুন পদ্ধতি অবলম্বনের সময় এসেছে।
বিবিসিকে দেয়া এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যকোনো দেশে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে প্রতি দু’বছর অন্তর অন্তত যুক্তরাষ্ট্রে এধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
এদিকে গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ব্রাজিলের গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে উবার। উবারের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে দেশটিতে উবারের ১৫৬০০০ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়। ভুক্তভোগী এসব গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি-- খবর আইএএনএস-এর।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের পাঠানো এক ইমেইলে জানানো হয়, এ ঘটনায় তাদের নাম, ইমেইল এবং ফোন নাম্বার হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকার দল। উবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, ঘটনাটি গোপন রাখতে হ্যাকাদের অর্থ দিয়েছে তারা। বিশ্বজুড়ে ৫.৭ কোটি গ্রাহকের চুরি করা তথ্য ধ্বংস করতে হ্যাকারদের এক লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে উবার।