Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্বশুরের আত্মহত্যায় প্ররোচিত মামলায় জামাই আটক

হিলি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:৫২ পিএম

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বহুল আলোচিত হানিফ কাউন্টর মাস্টার আঃ হামিদকে আতহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে জামাই মোঃ হাজিরুল ইসলাম (৪৫) কে আটক করছে পুলিশ।

আজ রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার কশিগাড়ী আফসারাবাদ কলোনীর শশুর আঃ হামিদের বাসা থেকে তাকে
আটক করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী আঃ রহিমের বড় ভাই উপজেলার কশিগাড়ী আফসারাবাদ কলোনীর মৃত আব্দুল হামিদ ঘোড়াঘাট থানাধীন রানীগঞ্জ বাজারে হানিফ বাস কাউন্টার চালাত। ২ বছর পূর্ব থেকে জামাই হাজিরুল ও ফাতেমার
প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও সহায়তায় পুত্র, পুত্রবধু, জামাতা, কন্যা, স্ত্রী ও শালিকা মিলে মৃত আব্দুল হামিদ এর নামীয় জমি নিজেদের নামে লিখে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি নিজে সামলাতে না পেয়ে আমাদের দুই ভাইসহ তার বন্ধু বান্ধবদের জানায়।
বিষযটি নিয়ে পারিবারীকভাবে পুত্রদের ও জামাইকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা ভাইদের কোন কথায় কর্নপাত করেনি। আঃ হমিদের উপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টিসহ শারীরক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। এক পর্ষায়ে উপায়ান্তর না পেয়ে প্রায় এক বছর পূর্বে আঃ হামিদ বাধ্য হয়ে তার নিজ নামীয় সকল সম্পত্তি, ব্যাংক-ব্যালেন্স উপরোক্ত পুত্র সাদ্দাম হোসেন ও মেয়ে কেয়া বেগমের নামে লিখে দেন। তার কিছুদিন পর থেকে জামাই হাজিরুল ও শালিকা ফাতেমার প্রত্যক্ষ ইন্ধন ও সহায়তায় আঃ হামিদকে তার বাড়ী থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার জন্য পুনরায় বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টিসহ শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। ঘটনার ৩ দিন পূর্বে ৩০/১২/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ১১টয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মারধর করে। তাকে দোতলার সিড়ি থেকে জামাই হাজিরুল ফেলে দেয়। মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে অঙ্গে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং জখম হয়। বিষয়টি ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীদের জানালে তারা জুম্মার নামাজ পর শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সামাজিকভাবে মিমাংসা করার আশ্বস্ত করেন আঃ হামিদকে। জুম্মার নামাজ শেষে নিহত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীদের লোকজন মারফত জানতে পারেন যে, আঃ হামিদ তার বাড়ীর ২য় তলা বিল্ডিং এর নীচতলায় তার শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করেছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে প্রতিবেশীরা দ্রুত সেখানে গিয়ে আব্দুল হামিদ এর মরদেহ তার শয়ন ঘরের খাটের উপর শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় পুলিশকে জানালে পুলিশ নিহত আঃ হমিদের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না
তদন্ত করে।পরে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নং-১৫, তাং- ০৩/১২/২০২১ ইং দায়ের করা হয়। আঃ হামিদের মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রমাণিত হওয়ায় নিহত আঃ হামিদের ছোট ভাই আঃ রহিম (ধলু) বাদী হয়ে পুত্র, পুত্রবধু, জামাতা, কন্যা, স্ত্রী ও শালিকাসহ ৭ জনকে আসামী করে ১৫ জানুয়ারী একটি আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার মামলা দায়ের করলে ১৬ জানুয়ারী সকাল ১০টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ ফারুখুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আঃ হামিদের কশিগাড়ী আফসারাবাদ কলোনীর বাসা থেকে মামলার ১নং আসামী জামাই হাজিরুল ইসলাম (৪৫ কে আটক করে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ