পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জেলখানা মানে অপরাধীদের । বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের ধরে এখানে রাখা হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই বন্দিশালা বা জেলখানা রয়েছে। এসব জেলখানায় অপরাধের সাজা হিসেবে বন্দিদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকতে হয়। তবে এবার অনন্য নজির স্থাপন করল দুবাই কর্তৃপক্ষ। সে দেশের একটি কারাগারে বন্দিদের মধ্য থেকে ৬০৫ জনকে কুরআনের হাফেজ বানিয়েছেন জেলখানা কর্তৃপক্ষ। গত দুই বছরে ধর্মশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছেন এই ৬০৫ বন্দি। জানা গেছে, ধর্মশিক্ষা প্রোগ্রামে পবিত্র কোরআন পড়তে ও শিখতে দুবাই পুলিশের শাস্তি ও সংশোধন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ বিভাগ নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এর অংশ হিসেবেই ৬০৫ বন্দি কোরআন হিফজ করার সুযোগ পায়। এছাড়াও ২০২১ সালে ২৭৫ জন এবং ২০২০ সালে ৩৩৩ জন এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন। দুবাই কারাবন্দিদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে থাকে আরব আমিরাত সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ধর্ম, খেলাধুলা ও পেশাদার বিষয়ক বিভিন্ন প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এডুকেশনাল জোন, স্থানীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কলেজের সহায়তায় বন্দিরা নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেন এবং নিয়মিত তাদের কাছে সর্বশেষ প্রকাশিত প্রয়োজনীয় সব বই সরবরাহ করা হয়। আরব আমিরাতে বন্দিদের জন্য বিভিন্ন কোর্স ও প্রোগ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোর্স হলো সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ শিল্প কোর্স, গ্রাফিক ডিজাইন, ফিল্ম মেকিং, ইংরেজি ভাষা, চীনা ভাষা, রাগ নিয়ন্ত্রণ, চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের পথ, ক্রিয়েটিভ কোর্স ইত্যাদি। এর আগে ২০২০ সালে সায়েন্টিফিক কোর্স থেকে উপকৃত হয়েছেন ১৭০ জন বন্দি এবং শিক্ষা কোর্স থেকে উপকৃত হয়েছেন ১৯১ জন বন্দি। খালিজ টাইমস, ইকনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।