মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বে প্রথম হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের সরকার ব্যবস্থাকে শতভাগ কাগজহীন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম। এর ফলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম এবং ১ কোটি ৪০ লাখ মনুষ্য কর্মঘণ্টা বেঁচে যাবে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এই শহরের।
দুবাই সরকারের সব ধরনের অভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক লেনদেন এবং পদ্ধতি এখন শতভাগ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। ডিজিটাল এই ব্যবস্থা সমন্বিত ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিচালিত হবে।
এক বিবৃতিতে শেখ হামদান বলেছেন, এই লক্ষ্য অর্জন দুবাইয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব দিককে ডিজিটাইজ করার যাত্রায় নতুন ধাপের সূচনা করেছে। উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করেই এই যাত্রা শুরু হয়েছে।
এ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ডিজিটাল রাজধানী হিসেবে দুবাইয়ের মর্যাদাকে আরও শক্তিশালী করবে। গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে এমন সরকারি কর্মকাণ্ড এবং পরিষেবার পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে দুবাইকে রোল মডেল হিসেবে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরবে বলে মন্তব্য করেছেন দুবাইয়ের এই প্রিন্স।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং কানাডা ব্যাপক পরিসরে সরকারি সব কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। সরকারি বিভিন্ন সেবা এবং নাগরিক সনাক্তকরণ কার্যক্রম এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করার কথা রয়েছে। তবে সংশয়বাদীরা শতভাগ ডিজিটাল কার্যক্রম ব্যবস্থায় সাইবার হামলার ঝুঁকির ব্যাপারে যুক্তি দিয়েছেন।
দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন, ‘সরকার আগামী পাঁচ দশকে দুবাইয়ে ডিজিটাল জীবন ব্যবস্থা তৈরি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেছেন, দুবাইয়ের ডিজিটাল যাত্রার নতুন ধাপ বাসিন্দাদের সমৃদ্ধ স্মার্ট শহরের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভবিষ্যৎ সরকারকে সক্ষম করে তুলবে। একই সঙ্গে তাদের জন্য সমৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন এবং সুখের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
দুবাইয়ের কাগজহীন সরকারের কৌশল ২০১৮ সালে গ্রহণের পর ক্রমান্বয়ে পাঁচ ধাপে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটিতে দুবাইয়ের সরকারের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনা হয়েছে।
একেবারে শেষ ধাপে এই কৌশল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়েছে সরকারের ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক হাজার ৮০০টিরও বেশি ডিজিটাল পরিষেবা এবং সাড়ে ১০ হাজারের বেশি বড় ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র: পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।