পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিশ্বের মধ্যে প্রথম কাগজহীন সরকার দুবাই। জানিয়ে দিলেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান। প্রিন্স জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রথম সরকার হিসেবে দুবাই নিজেকে ১০০ শতাংশ কাগজহীন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এতে সঞ্চয়ের পরিমাণ বেড়েছে দুবাইয়ের। সরকারের তরফে আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ঘোষণা করেছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে ১.৩ বিলিয়ন দিরহাম (৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ১৪ মিলিয়ন ঘন্টা সঞ্চয় করতে পেরেছে দুবাই।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুবাইয়ের অভ্যন্তরীণ, বৈদেশিক লেনদেন ১০০ শতাংশ ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। একক সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে এই লেনদেন পরিচালনা করা হয় বলে জানানো হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে শেখ হামদান বলেন, দুবাই যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা দেশের প্রতিটি মানুষের অবদান। এই সাফল্য নাগরিকদের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভবিষ্যতের লক্ষ্যে দুবাইয়ের যাত্রায় নতুন পর্যায় তৈরি করবে।
শেখ হামদান নিজের বিবৃতিতে আরো বলেন, ১০০ শতাংশ কাগজহীন হিসেবে দুবাইয়ের আত্মপ্রকাশ ডিজিটাল রাজধানী হিসেবে দুবাইকে এগিয়ে রাখবে। এখানে আসা পর্যটকদের সুবিধা থেকে নাগরিক যাবতীয় পরিষেবা ডিজিটাল হওয়ায়, পর্যটন বাড়বে। দুবাই বিশ্বের সামনে নিজেকে ডিজিটাল রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপ এবং কানাডা বৃহত্তর পরিসরে সরকারি যাবতীয় কাজকে ডিজিটালাইজড করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এই দেশগুলি। তবে একাংশের মতে এতে সাইবার ক্রাইমের ঝুঁকি আরও বেড়ে চলেছে।
দুবাই ক্রাউন প্রিন্স বলেন যে সরকার আগামী পাঁচ দশকে দুবাইতে ডিজিটাল জীবন তৈরি এবং উন্নত করার জন্য উন্নত কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। দুবাইয়ের ডিজিটাল যাত্রার নতুন পর্যায়ে তৈরি করা হবে একের পর এক স্মার্ট সিটি। যা নিজেদের বাসিন্দাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবং তাদের সমৃদ্ধি, উন্নয়নের নতুন নতুন সুযোগ দেবে। দুবাই পেপারলেস হওয়ার পথে যে পাঁচটি ধাপ পেরিয়েছে। পঞ্চম পর্বের শেষে প্রতিটি সরকারি সংস্থা সমেত মোট ৪৫টি সরকারি সংস্থা ডিজিটাল করা হয়েছিল।
এসব সংস্থা ১৮০০টিরও বেশি ডিজিটাল পরিষেবা এবং ১০ হাজার ৫শ’টির বেশি আর্থিক লেনদেন পরিষেবা দিয়ে থাকে, যা বর্তমানে পুরোপুরি কাগজহীন ও ডিজিটাল। দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ডিজিটাল পরিষেবাগুলি চালু হওয়ার ফলে ৩৩৬ মিলিয়নেরও বেশি কাগজপত্রের ব্যবহার কমেছে। উল্লেখ্য, দুবাইনাউ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের জন্য একটি একক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যা ১২টি প্রধান বিভাগে বিভক্ত। এ প্ল্যাটফর্ম ১৩০টিরও বেশি স্মার্ট সিটিতে পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়। সূত্র : এশিয়ানেট নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।