পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গতকাল মঙ্গলবার আফগানিস্তানের জন্য ৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের (বাংলাদেশি ২৬৪৮ কোটি টাকা প্রায়) অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে তালেবান দখলের পর থেকে দেশটি এক মানবিক সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে নতুন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের নতুন সাহায্য স্বাধীন মানবিক সংস্থার মাধ্যমে প্রবাহিত হবে এবং আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শীতকালীন সহায়তা, জরুরি খাদ্য সহায়তা, পানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্যানিটেশন প্রদানে ব্যবহার করা হবে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির দীর্ঘদিনের সমস্যায় জর্জরিত অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানের আগের সরকারের বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশ আসতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে। হাসপাতাল, স্কুল, কারখানা এবং সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোকে অর্থায়ন করা সেই অর্থ এখন বন্ধ হয়ে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি, খরা এবং অপুষ্টির কারণে এ ধরনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তার জন্য হতাশা আরো বেড়েছে।
ইউএসএআইডি তালেবানদেরকে ‘সব সাহায্যকর্মী, বিশেষ করে নারীদের... স্বাধীনভাবে এবং নিরাপদে কাজ করার’ অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ মানবিক গোষ্ঠীগুলো তাদের সাহায্য করতে চায়।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে অবিরাম মানবিক প্রবেশাধিকার, মানবিক কর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি, সব অরক্ষিত লোকদের সহায়তার স্বাধীন বিধান এবং সব লিঙ্গের সাহায্যকর্মীদের চলাচলের স্বাধীনতা দেয়ার অনুরোধ অব্যাহত রেখেছে’।
পৃথকভাবে আফগানিস্তানের জন্য জাতিসংঘের ২০২২ মানবিক প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা গতকাল মঙ্গলবার উন্মোচিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশটির জন্য ৪৪০ কোটি ডলারের তহবিল প্রয়োজন। এটি একটি দেশের জন্য পরিচালিত সবচেয়ে বড় মানবিক আবেদন।
বাইডেন প্রশাসনের নতুন প্রতিশ্রুতি আগস্টে ২০ বছরের পুরানো যুদ্ধের বিশৃঙ্খল সমাপ্তির পর থেকে আফগানিস্তানের জন্য মার্কিন মানবিক সহায়তা ৭৮ কোটি ডলারেরও বেশি। জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানের ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে ২২ শতাংশ দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি বাস করছে এবং আরো ৩৬ শতাংশ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।
এছাড়াও, হোয়াইট হাউস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা আফগানিস্তানে ১০ লাখ অতিরিক্ত করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ কোভ্যাক্স-এর মাধ্যমে পাঠাবে। ডোজগুলোর নতুন প্রবাহের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ৪৩ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে।
আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক তহবিল স্থগিত করা হয়েছিল এবং তালেবানরা আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে বিদেশে দেশের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ, বেশিরভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, হিমায়িত করা হয়েছিল।
তহবিলের অভাব দারিদ্র্য বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলো একটি মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে। রাজ কর্মচারী, ডাক্তার থেকে শিক্ষক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদের, কয়েক মাস ধরে বেতন দেয়া হয়নি। এদিকে, ব্যাঙ্কগুলো অ্যাকাউন্টধারীরা কত টাকা তুলতে পারবে তা সীমাবদ্ধ করেছে। তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল ছেড়ে দেওয়ার এবং মানবিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।