প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে লড়বেন এ কথা আগেই প্রচার হয়েছে। তবে এবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলস্থ তার নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চলচ্চিত্রে দুর্দিন চলছে। এর মধ্যে শিল্পী সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠনগুলোর মধ্যে সংকট চলছে। চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ঘটাতে হলে সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমরা সরকারের কাছে যাব। সহযোগিতা চাইব। সরকার অনুদানের মাধ্যমে সিনেমায় যে সহযোগিতা করছে, তা মূলধারার চলচ্চিত্রের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা বিজয়ী হতে পারলে সরকারের কাছে প্রণোদনা চাইব, যাতে চলচ্চিত্রের মূল ধারায় গতি ফেরে। তিনি বলেন, সরকার হল সংস্কারে যে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, তা কোনো হল মালিক নিচ্ছেন না। এর কারণ, তারা হল সংস্কার করে সুন্দর করে কি করবেন? সিনেমাই তো হচ্ছে না। হলে যদি সিনেমাই না থাকে, তবে হল সংস্কার করে কোনো লাভ নেই। এ কারণে তারা ঋণ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না। উপরন্তু ঋণ নিলে মাসে মাসে কিস্তি ও সুদ গুণতে হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য আলাদা প্রণোদনা দেন, তাহলে সিনেমা নির্মিত হবে এবং হলগুলোও চলবে। আমি নির্বাচিত হলে সকলকে নিয়ে সরকারের কাছে যাব। চলচ্চিত্র নির্মিত হলে শিল্পীরা আর বসে থাকবে না। কাজ বাড়বে। এতে পারস্পরিক মনোমালিন্য কমবে। কাজ না থাকায় শিল্পীদের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারা দুঃস্থ হয়ে থাকতে চায় না। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে প্রতি মাসে যদি অসহায় শিল্পীদের ২৫ হাজার টাকা করেও দেয়, তাতেও কোনো কাজ হবে না। এর এটা করা সম্ভবও নয়। তারা কাজ চায়। কাজ করলে এমনিতেই তাদের আয়-রোজগার বাড়বে। এজন্য সিনেমা নির্মাণ বাড়াতে হবে। আমরা সকলে মিলে এ কাজটি করতে চাই। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চলচ্চিত্রের অনেক বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা আমাকে নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। হুট করে তাদেরকে সিদ্ধান্ত জানাইনি। এ নিয়ে আমি ১০ দিন চিন্তা-ভাবনা করেছি। দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলাম। আমার ছেলে জয় উৎসাহ দিয়েছে। সে বলেছে, তুমি চলচ্চিত্রের মানুষ। এখান থেকেই আজকের তুমি পরিণত হয়েছ। শিল্পীদের কল্যাণে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তার কথায় উৎসাহ পেয়ে সম্মতি দিয়েছি। আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করতে চাই। উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল ও মিশা সওদাগ-জায়েদ খান প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।