২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, কায়িম শ্রম কমে যাওয়াসহ নানা কারণে ওজন বাড়ছে। শরীরে বাড়তি মেদ যে কারো জন্য ক্ষতিকর। ওজন কমানোর জন্য আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। প্রাকৃতিক নিয়মেও ওজন কমানো যায়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি। ওজন কমাতে হলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
দুধযুক্ত খাবার যেমন- পনির, মাখন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এগুলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। মাংস ও আমিষ জাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলার অন্যতম উপাদান হচ্ছে তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি। তাই যাদের ওজন বেশি তাদের বেশি করে এগুলো খাওয়া উচিত।
উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- চাল, আলু নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে, গম (আটা) খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অতিরিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি ও করলা ওজন কমানোর জন্য কার্যকর।
মসলা জাতীয় খাবার, যেমন- আদা, দারচিনি, কালো মরিচ এগুলো প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। মসলা জাতীয় খাবার হল ওজন কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
মধু দেহের অতিরিক্ত জমানো চর্বিকে রক্ত চলাচলে পাঠিয়ে শক্তি উৎপাদন করে, যা ব্যবহৃত হয় দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। মধু খাওয়া প্রথমে শুরু করতে পারেন অল্প পরিমাণে, যেমন- এক চামচ বা ১০০ গ্রাম, যা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।
এ ধরনের চিকিৎসায় এক চামচ টাটকা মধুর সঙ্গে আধা চামচ কাঁচা লেবুর রস আধা গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।