যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
মহিলাদের পত্র-পত্রিকা বা সেলিব্রিটি স্টোরি যাই দাবি করুক না কেন, জেনে রাখুন ‘বেবি ফ্যাট’ কিন্তু খুব সহজে যাওয়ার নয়। এই অমোঘ সত্যিটা স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে মাতৃত্বের সময়কার অতিরিক্ত মেদ কমাতে দু বছর বা পাঁচ বছরও লেগে যায়।
এমনকি সেইসময় সঞ্চিত মেদের প্রায় ৪০% থেকেও যায় অনেকের শরীরে। তাই এমন আশা করাটাও বোকামি হবে যে খুব শিগগিরই আপনি প্রিপ্রেগ্ন্যান্সি ওয়েটে ফিরে যাচ্ছেন। ঐশ্বর্য রাই ও পারেননি, আপনিও পারবেন না।
বরং চেষ্টা করুন ধাপে ধাপে আগানোর। প্রথমে খাওয়াটা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন বাড়ার গল্পটা বন্ধ করুন। আবারও বলছি, খাওয়া নিয়ন্ত্রণ মানে কিন্তু অল্প খাওয়া নয়। মেদ কমাতে একটু বেছে খাওয়া। আর ওই এক থিওরি, পরিমানে বেশি শুধু সেগুলোই খাবেন যাতে পুষ্টি বেশি।
কার্ব কম, ক্যালসিয়াম বেশি ডায়েট
আপনি শুধু কার্ব বেছে খাবেন। কারণ পোস্ট প্রেগন্যান্সি রিকভারির জন্য এবং বিশেষত, ব্রেস্টফিডিং করলে আপনার অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন অবশ্যই আছে। কিন্তু তার জন্য চেষ্টা করুন ঘরোয়া সুষম খাওয়ার খেতে।
প্রয়োজন, প্রচুর পরিমানে তরল খাবার বা পানীয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিজেই ঠিক করে নিন নিজের মেনু। আর তাতে কার্বোহাইড্রেট কম রেখে বেশি করে রাখুন প্রোটিন, ভিটামিন এবং অবশ্যই ক্যালসিয়াম। বাদাম, সবজি, ফল খান বেশি পরিমানে।
এড়িয়ে চলুন খাবারে অতিরিক্ত চিনি এবং মিষ্টি। বেশি করে খান ফাইবার জাতীয় খাবার খান। মাস শেষে দেখবেন, ওজন না কমলেও অন্তত বাড়ছে না।
একবারে বেশি না খেয়ে বারেবারে খান
মেদ ঝরাতে এই তত্ত্বের জুড়ি মেলা ভার। ‘এটা খাব না’, ‘সেটা খাবনা’ করে আশেপাশের লোকজনকে বিব্রত করাটা যেমন বিরক্তিকর। ঠিক তেমনই যেটা খাওয়া উচিত নয় সেটা অনেকটা খেয়ে নিয়ে গিল্ট ট্রিপে যাওয়াটাও বোকামি।
তার চেয়ে খান। কিন্তু রয়ে সয়ে। ধরুন আপনার কুকিজ খেতে খুব ইচ্ছে করছে, দোকান থেকে কিনে আনা বাক্সটা বার বার দেখছেন, অথচ সাহস করে খেতে পারছেন না। নিজেকে এতটা নির্যাতন করারও কোনো প্রয়োজন নেই। ভদ্রভাবে বাক্সটা খুলুন।
একটা কুকি বের করে প্লেটে নিন। ভেঙে এক টুকরো মুখে দিয়ে আরাম করে খান। ওই একটা কুকি সারাদিন ধরে একটু একটু করে খান। যেন অমৃত খাচ্ছেন। পুষ্টিকর খাবার বেশিরভাগ মানুষেরই খেতে ভালো লাগে না। তাই সেইসব খাবার একটু অন্যভাবে খান।
যেমন ওটসের খিচুড়ি, নুন লেবু গোলমরিচ দেওয়া সিদ্ধ সবজির স্যালাড। একটু নেট ঘাঁটলেই বিভিন্ন ব্লগে পেয়ে যাবেন খুব সহজ, অথচ স্বাস্থ্যকর খাবারের অসাধারণ সব রেসিপি।
সময় বের করে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করুন
এই সময় সন্তানের পাশাপাশি নিজের খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া জরুরি। ঠিক ততটাই জরুরি এক্সারসাইজ। সন্তান প্রসব সিজারিয়ান হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করে দেওয়া যায় হালকা কার্ডিও এক্সারসাইজ।
হাঁটা, জগিং, দৌড়নো, সাইক্লিং ওজন কমাতে বেশ সাহায্য করবে। শরীরের ক্ষমতা বুঝে আরও কিছুদিনের মধ্যে শুরু করতেই পারেন ওয়েট ট্রেনিং। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে প্রসবকালীন আপনার শরীরের সুস্থতা ও অন্যান্য জটিলতা কতটা ছিল এবং কোন পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব হয়েছে তার ওপর।
নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে অন্য সমস্যা না থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই হালকা ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। শেষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।