২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
লাউ একই সঙ্গে জনপ্রিয়, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। সাধের এই লাউ যে কতজনকে বৈরাগী বানিয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান হয়তো জানা যাবে না, তবে এই লাউ খেলে যে প্রভূত উপকার হতে পারে সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা একমত।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে যেসব পুষ্টিগুণ আছে তা হল-কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মি.গ্রা, ফসফরাস ১০ মি.গ্রা, পটাশিয়াম ৮৭ মি.গ্রাম, নিকোটিনিক অ্যাসিড ০.২ মি.গ্রাম। এছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন বি-১, বি-২ এবং আয়রন।
* আপনি যদি ওজন কমানোর কথা বলে থাকেন তাহলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউ একটি কম ক্যালরি সম্পন্ন ডায়েট। লাউয়ের ৯৬ শতাংশই হল পানি। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং খুবই কম ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই যাঁরা ওজন কমানোর চিন্তা করছেন তাঁরা বেশি করে লাউ খান তাহলে শরীরে কম ক্যালোরি যুক্ত হবে এবং পেটও ভরবে।
* লাউয়ে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এছাড়াও নিয়মিত লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে। অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
* যেহেতু লাউ এর মূল উপাদান হল পানি তাই লাউ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। নিয়মিত সূর্যের আলোতে কাজ অথবা দীর্ঘক্ষণ ধরে রোদে কাজ করার পর লাউ তরকারী খেলে শরীরের ভেতরের অস্বস্তি ভাব কমে। গরমের কারণে আমাদের শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় লাউ তার অনেকটাই পূরণ করে ফেলে। ফলে হিট ষ্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।
* লাউয়ে আছে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ভিটামিন। তাই নিয়মিত লাউ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ত্বক ভেতরে থেকে ভালো হয়। এছাড়াও যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ত্বকের তৈলাক্ততার সমস্যা অনেকটাই কমে যায় লাউ খেলে। এছাড়াও লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর পেট পরিষ্কার রাখে। ফলে মুখে ব্রণ উঠার প্রবণতাও কমে যায় অনেকটাই।
* জ্বর, ডায়ারিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের অসুখে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় বলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয় এবং তা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। তাই এ-ধরনের অসুখের সময় প্রচুর পরিমাণে লাউ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়ে যায় এবং শরীর সতেজ থাকে।
* লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। তাই যাদের প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়ার সমস্যা আছে কিংবা প্রস্রাব হলদে হয় তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এ-ধরনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।