গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দগ্ধরা হলেন-বাচ্চু মিয়া (৫০), ইসরাত জাহান (২২), জিয়াসমিন আক্তার (২৮) ও তার ছেলে তামিম হাসান (১০)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ অগ্নিকা-ে দগ্ধ চারজন আমাদের এখানে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে চলছে। দগ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ জিয়াসমিন জানান, আগুন লাগার পর পাড়ে এসে দুই সন্তানকে দুইতলা থেকে নিচে ছুড়ে দেন। এরপর তিনিও লাফ দেন। এরপর কি হয়েছে আর কিছু বলতে পারেননি।
জিয়াসমিনের মামা মো. মামুন জানান, জেসমিন তার স্বামী সন্তান নিয়ে বরগুনা সদরে থাকেন। তার বাবার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডা এলাকায়। ১০-১২ দিন আগে জিয়াসমিনের নানীর মৃত্যুর খবরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি আসে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আবার সন্তানদের নিয়ে বরগুনা ফিরছিল। তিনি আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে বরিশাল মেডিক্যাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাদের ৩ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পথে মাওয়া ঘাটে মেয়ে মাহিনুরের মৃত্যু হয়। তার লাশ কেরানীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের হাত-পা ও মুখ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। অগ্নিকা-ের ঘটনায় মা ও ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জিয়াসমিনের ১২ ও ছেলের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ লঞ্চটিতে আগুন ধরে। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।