Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২১ কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২৬ পিএম

ঝালকাঠিতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৩ জনের দাফন সরকারিভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় বরগুনার পোটকাখালী গ্রামে খাকদোন নদীর তীরবর্তী গণকবরে এসব মরদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে চার মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে বরগুনা এসে পৌঁছায় ৩৭টি মরদেহ। এরপর রাতেই পাঁচটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা।শনিবার সকালে আরও তিনজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা। শনাক্ত করতে না পারা মরদেহগুলো জানাজার পর আরও দুইজনকে শনাক্ত করেন স্বজনরা। জানাজা শেষে ২৭ মরদেহ বরগুনার পোটকাখালী এলাকায় দাফনের জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় আরও চারজনকে শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে ২১ কবরে শনাক্ত না হওয়া বাকি ২৩ মরদেহ দাফন করে প্রশাসন।

পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দুটি কবরে ২ জন করে ২১ কবরে ২৩ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শনাক্ত না হওয়ায় ২৩টি মরদেহ সরকারিভাবে দাফন করা হয়েছে। পরেও কোনো স্বজন এসে যদি মরদেহ শনাক্ত করতে পারেন তবে তাদেরকে কবর বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লঞ্চে আগুন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ