পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়ী সবার দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ, নাগরিক অধিকার, নৌ-খাত ও পরিবহন-বিষয়ক ১০টি বেসরকারি সংগঠন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত পাঁচদিনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠন গুলোর নেতারা।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ৪ জানুয়ারি নৌ-প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী তারা কেউ রেহাই পাবেন না। তাদের সবাইকেই শাস্তি পেতে হবে। সেদিন তিনি স্পষ্টভাবে আরও জানিয়েছিলেন, প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারসহ ফিটনেস প্রদানকারী প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার পাশাপাশি লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারদের দায়ী করা করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর এ কঠোর হুঁশিয়ারির পরও দায়ী সরকারি কর্মকর্তারা স্বপদে বহাল থাকায় সচেতন দেশবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে,তাহলে অতীতের মতো এবারও কি প্রকৃত অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবেন? অতীতের দুটি নৌ-দুর্ঘটনার উদাহরণ টেনে তারা বলেন, ২০১৪ সালে পদ্মায় মাওয়ার কাছে এমএল পিনাক-৬ লঞ্চ দুর্ঘটনা ও ২০০৩ সালে চাঁদপুরে মেঘনার মোহনায় এমভি নাসরিন লঞ্চ দুর্ঘটনার পর তীব্র সমালোচনার মুখে লঞ্চ দুটির ফিটনেস প্রদানকারী দুই শিপ সার্ভেয়ারকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এছাড়া তাদের দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ড ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টির পর নৌ-অধিদপ্তর থেকে লঞ্চটির মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে নৌ-আদালতে মামলা করা হলেও দায়িত্বহীনতার কারণে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ নৌযান প্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হানিফ খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, নিরাপদ নৌ-পথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী ও পুরোনো ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
গত ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবোঝাই এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা ও বরিশালের হাসপাতালে প্রায় ৮০ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া বহু যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনেরা। এই ঘটনায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গত ৩ জানুয়ারি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এতে অগ্নিকান্ড ও হতাহতের জন্য নৌ-অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মাহবুবুর রশিদ, পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক জয়নাল আবেদিন ও একই সংস্থার সদরঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শকসহ লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারকে দায়ী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লঞ্চের মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভাররা নৌ-আদালতের মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।