প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাসরিন এখন খুব বেশি অভিনয় করেন না। অথচ নব্বই দশকে তিনি ছিলেন সিনেমার অপরিহার্য অভিনেত্রী। বিশেষ করে প্রয়াত কৌতুক অভিনেতা দিলদারের জুটি হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তাকে তখন বলা হতো, দিলদারের নায়িকা। বরাবরই স্পষ্টবাদী নাসরিন কোনো কিছু রাখঢাক করে বলেন না। যেটা তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়, তাই বলেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাসরিন খোলাখুলিভাবে তার ক্যারিয়ার ও চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার শুরুটা হয়েছিল দিলদার ভাইয়ের সাথে। তাই আমাকে কেউ নায়িকা হিসাবে নিতে চাইতো না। অনেক নায়ক বলতো, ও তো দিলদারের নায়িকা ওর সাথে অভিনয় করবো না। ওর সাথে অভিনয় করলে আমার ক্যারিয়ারের সমস্যা। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছরে আমি কারও সাথে আপোষ করিনি। আমার ধ্যান-জ্ঞান সব কিছু চলচ্চিত্র। আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি এটা ছাড়তে পারব না। সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি আমি শিল্পী, আমার কাজ আগে। ইন্ডাস্ট্রিতে জোর করে কিছু হয় না। শুধু মাত্র চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে অনেক পরিচালক, অভিনিয় শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা মুড়ি খেয়ে থেকেছে। মুখ ফুটে কখনোও কিছু বলেনি। তার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আইটেম গানগুলো আমি করতে চাইতাম না। আইটেম গান করতাম শুধু একটা কারণে, তখন বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। সেই টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতাম। একটানা ২০ বছর আইটেম গানে কাজ করে কখনও ১৫-২০ হাজারের বেশি সম্মানী পাইনি। অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা কাজ করেছি। নাসরিন বলেন, আমি মুনমুনকে প্রচুর হেইট (ঘৃণা) করতাম। ভাবতাম, এরা এসে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দেখলাম, না ওকে আসলে প্রযোজকরা হাফপ্যান্ট পরতে বলত। মুনমুন কান্না করতো। বলত, সিনেমায় কাজ করতে এসেছি কী আপনাদের এই নোংরা কাপড় পরার জন্য? তখন সে সময়ের প্রযোজকরা বলত, এটা পরলে পরো, না পরলে চলে যাও। তখন মুনমুনের ওপর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। এরপর থেকে আমি মুনমুনের সাথে কথা বলা শুরু করি। চলচ্চিত্র বাহির থেকে যতটা চকচকে, ভেতরটা আসলে ফাঁকা। নাসরিন স্মৃতিচারণ করে বলেন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার শুটিংয়ে সালমান ভাই আমাকে মুটকি বলায় আমি তাকে ঢিল মেরেছিলাম, তখন আমি উনাকে চিনতাম না। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমায় শাবনাজের নায়িকা থাকার কথা ছিল। শিডিউলের কারণে সোহানুর রহমান সোহান মৌসুমিকে নিয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।