পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর লিপা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিষ্মিতা সিমন্তিম। তবে এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর এক আসামি উইমেন চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা লীনা হককে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গতকাল আদালতের সাধারণ নিবন্ধন জিআর শাখা থেকে জানা গেছে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ অক্টোবর এই চার্জশিট দাখিল করেন। তাসলিমা নাসরিনসহ তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক পত্রিকা আল বাইয়েনাত সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে তসলিমা নাসরিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত শাহজাহানপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা আছে, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুপ্রীতি ধর, সুচিষ্মিতা সিমন্তি ও লীনা হকরা প্রায়ই পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক লেখা প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনও ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছিল, ‘পয়গম্বরও আরব দেশে ইহুদি পুরুষদের মেরে ওদের মেয়েদের নিজের সঙ্গীদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন।’ লেখিকার এই বক্তব্যে মামলার বাদীর দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।