Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ধূলিস্যাৎ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

২০১৯ সালে যে ফলাফল করেছিল, তা স্রেফ ভোজবাজির মতো উবে গেল। ২০১৫ সালে যেখানে ছিল, এবার সেখানেই তার থেকেও নীচে নেমে গেল বিজেপি। কলকাতা পৌরসভায় অবস্থা আরও খারাপ হল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে ১১ ওয়ার্ডে এগিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যেই সব ওয়ার্ডে জিততে পারল না গেরুয়া শিবির। সাকুল্যে তিনটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তারা।

এবারের পৌরসভা নির্বাচনে কলকাতায় মাত্র তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি - ২২, ২৩ এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ড। যেখানে মাস সাতেক আগেই বিধানসভা ভোটে ১১ টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। সেই ফলও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। শুধুমাত্র ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিততে পেরেছে। সান্ত¡না পুরস্কার হিসেবে জিতেছে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে। বিধানসভা ভোটের নিরিখে ২১, ২৪, ২৫, ২৭, ৩১, ৪২, ৭০, ৭৪ এবং ৮৭ ওয়ার্ডে যে লিড ছিল, তা জয়ে পরিণত করতে পারেননি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী। তাও কিনা যে বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় স্রেফ উড়ে গিয়েছিল বিজেপি। পরে ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের ৭০ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি বিবেচনা করলেও বিধানসভা এগিয়ে থাকা ওয়ার্ডেও হেরে যাওয়ার অস্বস্তি দূর হবে না বিজেপির।

এমনিতে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এবারের কলকাতার পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি যে বোর্ড গঠন করতে পারবে না, তা স্পষ্ট ছিল। যা বুঝে গিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। তাও দুই অঙ্কে পৌঁছানোর একটা লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০-এর ধারেকাছেও গেল না বিজেপি। এমনকী ২০১৫ সালের নির্বাচনেও (যখন রাজ্যে বিজেপির শক্তি ছিল না) সাতটি ওয়ার্ডে (৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০ ৮৬, এবং ৮৭) জিতেছিল গেরুয়া শিবির। পরে সাত নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী বাপি ঘোষ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী অসীম বসু তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে খাতায়কলমে কলকাতায় বিজেপি কাউন্সিলরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল পাঁচ। সেই সংখ্যাটাও ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।

অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কলকাতায় বিজেপি বেশ ঈর্ষণীয় ফল করেছিল। ১৪৪ টির মধ্যে ৫১ টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেটা স্রেফ নরেন্দ্র মোদির ঝড়ের কারণে হয়েছিল। হাওয়া ছিল গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। কিন্তু বিধানসভা ভোট বা পুরসভা ভোটের ক্ষেত্রে সংগঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কলকাতায় যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের সংগঠনের অবস্থা যে একেবারে খারাপ, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। তার জেরেই এভাবে নুইয়ে পড়ল পদ্ম। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।



 

Show all comments
  • কামাল উদ্দিন হিরা ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৬ এএম says : 0
    ভারত বাংলার মাটি ও মানুষের গর্বিত কন্যা সন্তান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের জয়, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
    Total Reply(0) Reply
  • MD Jasim Uddin ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৬ এএম says : 0
    তৃণমূলের সকল বিজয়ী সদস্যদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Alam ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৭ এএম says : 0
    অভিননন্দন দিদি। সকল ধরণের সাম্প্রদায়িকতার পরাজয় সব সময় আনন্দের।
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Patwary ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৮ এএম says : 0
    দিনের ভোটে জিতার জন্য স্বাগতম।
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ২:৪৯ এএম says : 0
    পুরো ভারতেই বিজেপির দিন শেষ হয়ে আসছে
    Total Reply(0) Reply
  • দিগন্ত ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৩৩ এএম says : 0
    ধন্যবাদ দিদি কে এবং দিদির ভোটারদের-ও সমর্থকদের। এমনই একজন দিদির আমাদের দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • ফখরুল ইসলাম মিরাজী ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫৯ এএম says : 0
    ওয়েলকাম দিদি
    Total Reply(0) Reply
  • কিরন ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৪ এএম says : 0
    সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আমাদের দেশেও অনেকে ধূলিস্যাৎহয়ে যেতো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ