Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফসলি জমির মাটি পুড়ছে ইটের ভাটায়

| প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

প্রাচীনকাল থেকে এ দেশ কৃষিপ্রধান। এ দেশের মাটি, পানি, বায়ু সবই কৃষির অনুকূলে। কৃষি আমাদের প্রধান পেশা, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির সাফল্যে কমেছে খাদ্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা। কৃষিজাত পণ্য রফতানিও করা হচ্ছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংস এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা। ফলে দিন দিন কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, প্রতিটি ভাটায় বছরে অন্তত ৫০-৫৫ লাখ ইট তৈরি হয়। প্রতি হাজার ইট তৈরি করতে প্রায় ৮৮ ঘনফুট মাটি প্রয়োজন। সেই হিসাবে একটি ইটভাটায় বছরে প্রায় পাঁচ লাখ ঘনফুট মাটি দরকার। ইটভাটার মালিকরা কৃষকের জমি থেকে উপরিভাগের মাটি কিনে নেন। এতে জমি হারায় উৎপাদান ক্ষমতা। ফলে আগামীতে দেশে খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া, ইটভাটার কারণে সবচেয়ে বেশি দূষিত হয় বাতাস। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে গাছ, ফলমূল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মানুষ সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। ইট পোড়ানো কয়লা থেকে মারাত্মক ক্ষতিকর কার্বন-মনোক্সাইড নির্গত হয়। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি এবং খাদ্য ঘাটতি সত্ত্বেও প্রশাসনের যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এতে শুধু কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, ক্ষতি হচ্ছে দেশ, জাতি, জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশের। তাই এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

মাজহারুল ইসলাম শামীম,
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন