মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়লো রোববার। মাত্র ৩০ শতাংশ। চীন নতুন কড়াকড়ি চালু করার পর প্রথম ভোট হলো।
তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়লো হংকংয়ে। লেজিসলেটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৩ জন নথিভুক্ত ভোটদাতার মধ্যে মাত্র ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৮০ জন ভোট দিয়েছেন।
আসলে নতুন নির্বাচনী সংস্কার যথেষ্ট বিতর্কিত। সেখানে বলা হয়েছে, সেই সব প্রার্থীই ভোট দিতে পারবেন, যারা নিজেদের রাজনৈতিক ধারণা এবং দেশভক্তির বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। আইনসভার ৯০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ২০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন।
গত মার্চে চীন এই পরিবর্তন এনেছে। জুনে হংকংয়ের আইনসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে। আইনসভার ৪০টি আসনে প্রতিনিধি ঠিক করে দেয় এক হাজার ৫০০ জনের একটি কমিটি। কমিটিতে শুধুমাত্র কট্টর চীনপন্থিরাই আছেন। ৩০ জনকে বেছে নেয় বেজিং-পন্থি আরেকটি কমিটি। তবে এই প্রতিনিধিরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন।
১৪ ঘণ্টা ধরে ভোট চলেছে। সাত ঘণ্টা পরে ভোট পড়েছিল ১৯ শতাংশ। ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের অধিকারে চলে যাওয়ার পর এত কম ভোট কখনো পড়েনি।
বুথগুলিতে দশ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিলেন, ভোট দিতে আসার জন্য যানবাহনে চড়লে তাতে কোনো টাকা দিতে হবে না। ভোটদাতাদের কাছে মেসেজ পাঠিয়েও ভোট দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই বার্তায় বলা হয়েছিল, 'হংকংয়ের জন্য ভোট দিন। হংকংয়ের ভবিষ্যতের জন্য এই ভোট দেয়া জরুরি।'
হংকংয়ে ভোট না দেয়া বা খালি ব্যালট জমা দেয়া বেআইনি নয়। কিন্তু এই বছর থেকে নিয়ম চালু করা হয়েছে, কেউ যদি ভোট না দেয়ার জন্য উসকানি দেয়, তাহলে সেটা অপরাধ। বিদেশে থাকা পাঁচজন মানবাধিকারকর্মী ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পুলিশ।
গত সেপ্টেম্বরে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়। তখন সমালোচকরা বলেছিলেন, সরকার আসলে ভোট পিছোতে চায়। করোনা একটা উপলক্ষ্য মাত্র। সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।