Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাট পণ্যের ঐতিহ্য

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

পাটের কারণে একসময় এই দেশকে বলা হতো সোনালি আঁশের দেশ। পর্যাপ্ত পাট চাষ হওয়ার কারণে, দেশে অনেকগুলো পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুধু কি দেশে, দেশের বাইরেও পাট রপ্তানি হতো। আমাদের পাটের প্রধান ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ, বিভিন্ন ধনী দেশ। কিন্তু কালের পরিক্রমায় আজ তা হারিয়ে গেছে। পাটের জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিক। একসময়ের পাটের ব্যাগের জায়গায় আজ পলিথিনের ছড়াছড়ি। এছাড়াও গালিচা, বস্তা, কার্পেটের জায়গায়ও আজ প্লাস্টিকের ব্যাপকতা দেখতে পাওয়া যায়। ন্যায্য দাম না পেয়ে পাট চাষে আগ্রহ হারিয়েছে কৃষক। একে একে বন্ধ হয়েছে সরকারি পাটকলগুলো। তারপরও গত দুই বছর ধরে পাটের ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক। পাটের দাম সর্বশেষ ২০০০ টাকা মণ পর্যন্ত উঠেছিল। ফলে আশার আলো দেখছে দেশের পাট চাষিরা। এবছরও মৌসুমের শুরুতে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে পাট। পাট দিয়ে বর্তমানে ব্যাগ, পার্টস, জুতা, শতরঞ্জি, শিখা, পাপোশ, টুপি, মানিব্যাগ, কম্বল, ইত্যাদি তৈরি হয়। এসব পাটপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। এককভাবে বাংলাদেশ বিশ্বে উৎপাদিত কাঁচা পাটের ৪০% উৎপাদন করে। বাংলাদেশের উৎপাদিত পাটের অধিকাংশ রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। বেসরকারি পাটকলগুলো পাট ক্রয় করে পাটপণ্য উৎপাদন করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাটের যে অবদান রয়েছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। তাই সরকারি পাটকলগুলো আবার চালু করার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই খাতকে সচল করতে হবে। তবেই সোনালি আঁশের ঐতিহ্য ফিরে পাবে বাংলাদেশ।
জাফর ইসলাম
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন