Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কিশোর অপরাধ

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সাইটগুলোতে কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ে এবং এখান থেকে অনেক সময় বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম তারা শিখে থাকে। কিশোরদের ভিতর ডেভিয়েন্ট বিহেভিয়ার বা সমাজচ্যুত আচারণ দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলছে। অনেক সময় বাবা-মায়ের ভিতর অন্তর্দ্বন্দ্ব, ডিভোর্স অথবা পরিবারের কেউ অপরাধ কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা কিশোরকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। দারিদ্রতা বা অভাব-অনটন যে কিশোর অপরাধের আর একটি অন্যতম কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার খাতিরে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আশা কিশোররা চুরি, পকেটমার, ছিনতাই এর মতো অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। কিশোর অপরাধ সংঘটনে পরিবেশের দায় এড়ানোর মতো নয়। পরিবার থেকে বের হয়ে একটি শিশু যখন ভয়ংকর পরিবেশের সম্মুখীন হয়, তখন পরিবার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার অনেক ক্ষেত্রে অর্থহীন হয়ে যায়। যখন কোনো কিশোর অপরাধ সংঘটন করে তখন তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে ক্রম বর্ধমান অপরাধের তুলনায় কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক নগন্য। সারাদেশে মাত্র তিনটি সংশোধন কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল অপরাধীদের প্রশিক্ষণ দেয়া, বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা দেয়া, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এসব সংশোধন কেন্দ্রে তারা বিভিন্ন মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। আরও উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন অপরাধীদের একসাথে রাখার ফলে পরবর্তীতে এর নেতিবাচক বিভিন্ন প্রভাব পড়ে অপরাধীদের উপর। সংশোধন কেন্দ্র থেকে মুক্তির পর এসব ছোট অপরাধী (চুরি, পকেটমার) দেখা যায় বড় অপরাধে (খুন, ধর্ষণ) লিপ্ত হচ্ছে। কিশোরদের জন্য সংশোধন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদন ব্যবস্থা, শরীর চর্চা, ধর্মশিক্ষা, নৈতিকতা শিক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে তারা সহজে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠক করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

সৈয়দা আনিকা বুশরা
শিক্ষার্থী, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন