Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই সিফাতের বিরুদ্ধে ফের শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ

ঢাবি মাস্টারদা’ সূর্য সেন হল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

দলীয় কর্মসূচিতে (প্রোগ্রাম) অংশগ্রহণ না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা’ সূর্য সেন হলের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের ৭ তারিখে একই হলের দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দেওয়া ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত উল্লাহ সিফাতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। জানা যায়, এর আগে ২০১৮ সালে অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সিফাতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।

অন্যদিকে এ ঘটনার ভুক্তভোগী হলেন ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ এন্ড কালচার বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী পরশ মিয়া। মারধরের বিষয়ে পরশ মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে আমাকে যেতে বলা হয় কিন্তু পরীক্ষা থাকার কারণে আমি যেতে পারিনি। যার কারণে সোমবার সন্ধ্যা সাতটার সময় সিফাত আমাকে তার রুমে ডেকে পাঠায় এবং আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রোগ্রামে কেন প্রোগ্রামে যায়নি। আমি বিনয়ের সাথে তাকে বলি আমার পরীক্ষা চলছে এজন্য যেতে পারিনি। এ কথা বলার সাথে সাথে সে আমার কলার চেপে ধরে বেধড়ক মারধর করা শুরু করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি ঠিকমত নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে বড় ভাইরা এসে আমাকে সেভ করে এবং আমাকে সে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সিফাত হল শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ইমরান সাগরের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করে ইমরান সাগর বলেন, গত মাসের ঘটনায় সিফাতকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং সে এখন আর আমার সাথে রাজনীতি করে না। সে বর্তমানে হল প্রশাসনের মদদে বা অন্য কোনো উপায়ে এককভাবে হলে অবস্থান করছে। তার ব্যাপারে এখন কোনো দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সিফাত উল্লাহ সিফাতকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সূর্য সেন হলের প্রফেসর ড. মো. মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয় উল্লেখ করে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর আধা ঘণ্টা পর তাকে পুনরায় ফোন করা হয়। এবারও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি আমি মিড়িয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। আমাদের পরামর্শ থাকবে যত দ্রুত সম্ভব হল প্রশাসন মারফত একটা লিখিত অভিযোগ দেওয়া। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ