মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লিতে সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে।
ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত যখন তুঙ্গে উঠেছে, সেই সময় ভারত সফরে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। সোমবার পুতিনের সঙ্গে মোদির দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। তারপর দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রীপর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। একগুচ্ছ চুক্তি সই হয়েছে। তার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে একাধিক চুক্তি সই হয়েছে। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো যাবে না। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস করা যাবে না।’› ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বৈঠকের পরে জানিয়েছেন, ‘ঠিক হয়েছে, লস্কর, আল কায়দা, আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। ভারতের প্রতিবেশী এলাকায় যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হচ্ছে, সে সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’ অর্থাৎ নাম না করলেও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ যে আলোচনায় এসেছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন শ্রিংলা।
পুতিন জানিয়েছেন, ‘গ্লোবাল এজেন্ডা নিয়ে ভারত ও রাশিয়া সহযোগিতার ভিত্তিতে চলবে। দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে ফারাক নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার, অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে লড়ব।’ তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক যে, আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ রশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং একটি মহান দেশ।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বিশেষ ও কৌশলগত সম্পর্ক আরো জোরালো হয়েছে।’ মোদির বক্তব্য, ‘গত কয়েক দশকে বিশ্বে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং তা আরো মজবুত হয়েছে।’
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একগুচ্ছ চুক্তি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, সামরিক-প্রযুক্তি চুক্তি। এই চুক্তি অনুসারে ১০ বছর ধরে রাশিয়া ভারতকে সামরিক প্রযুক্তি দেবে। তাছাড়া ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে। চীনের মোকাবিলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি বলে ভারত মনে করে। ক্ষেপণাস্ত্র কেনার এই চুক্তি ২০১৮ সালে হয়েছিল। কিন্তু এই চুক্তিতে আমেরিকা অসন্তুষ্ট ছিল। এছাড়া রাশিয়া ও ভারত কালাশনিকভ একে-২০৩ রাইফেল ভারতে বানানো নিয়েও একমত হয়েছে। ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র ক্রেতা। আর মস্কো হলো ভারতে সব চেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রেতা। এছাড়া বাণিজ্য নিয়েও ২৮টি চুক্তি সই হয়েছে। তার মধ্যে ইস্পাত, জাহাজ তৈরি, কয়লা ও বিদ্যুৎ আছে। সূত্র : পিটআই, এএফপি, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।