মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জটিল স্যাটেলাইটের আকার ও উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রায় সাধারণ কম্পিউটারের মতো হয়ে ওঠায় মহাকাশ মুনাফার বড় উৎস হয়ে উঠেছে। সেই সাথে সস্তায় রকেট উৎক্ষেপণের উদ্যোগও বাড়ছে। অনেক নতুন কোম্পানি মহাকাশের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠছে। নরওয়ের আন্ডোইয়া স্পেস সংস্থার রজার এনোকসেন মনে করেন, আগামী কয়েক দশকে মহাকাশ শিল্পে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে। মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা, আবহাওয়া পরিবর্তনের পর্যবেক্ষণের মতো কার্যকলাপ বাড়বে। কিন্তু কে সেই আয়ের ভাগীদার হবে, কার ব্যবসাই বা লাটে উঠবে? এ ক্ষেত্রে বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই সেই সাফল্যে ভাগ বসাতে চান। এই শিল্পশাখার বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাকাশ ক্ষেত্রের বাজার অদূর ভবিষ্যতে এক লাখ কোটি ইউরোর মাত্রা অতিক্রম করতে চলেছে। জার্মানিতে তিনটি স্টার্টআপ কোম্পানি মহাকাশে পাঠানোর উপযোগী ছোট রকেট তৈরি করতে চায়। গোটা বিশ্বে প্রায় একশোটি কোম্পানি সেই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। জার্মানির দক্ষিণের রকেট ফ্যাক্টরি নামের কোম্পানি অপেক্ষাকৃত সস্তায় রকেট পাঠিয়ে বাজার দখল করতে চাইছে। গ্রাহকদের উৎক্ষেপণ-প্রতি ৩০ লাখ ইউরো গুনতে হবে। সংস্থার কর্ণধার স্টেফান ব্রিশেংক মনে করেন, ‘‘মাসে একটি উৎক্ষেপণ হলেই আমরা মুনাফা করতে পারবো। তবে আমরা সপ্তাহে একটি উৎক্ষেপণ করতে চাই। আমরা চাই, পুরো প্রক্রিয়া যেন অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রের মতো সহজ ও আড়ম্বরহীন হয়ে উঠুক।’’ কঠিন পরিবেশে রকেটের পরীক্ষা চলছে। সেটির মধ্যে অত্যন্ত শীতল ও তরল নাইট্রোজেন ভরা হয়েছে। একমাত্র এভাবেই ইঞ্জিনিয়াররা ওয়েল্ডিং করা অংশগুলির সহ্যশক্তি যাচাই করতে পারেন এবং ঠিক কতটা চাপের মুখে সেটি ভেঙে পড়বে, তাও বুঝতে পারেন। দেখা গেল, সেই মোড়ক প্রত্যাশা ছাপিয়ে আরও চাপ সহ্য করতে পারে। হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার বাজারে সেটা কি একটা মাইলফলক? বিজনেস কনসাল্টেন্ট হিসেবে মারিয়া ইয়ানকে বলেন, ‘‘উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে জার্মানি এখনো বাকিদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের তিনটি মাইক্রোলঞ্চার রয়েছে। সেগুলি থেকে এখনো কোনো উৎক্ষেপণ হয়নি এবং এখনো প্রায় কোনো আয় হয়নি। গোটা বিশ্বে অতিরিক্ত সংখ্যায় লঞ্চ কোম্পানি বর্তমান চাহিদা পূরণ করায় আমাদের এই হাল।’’ স্যাটেলাইট প্রযুক্তি একেবারে ভিন্ন এক ক্ষেত্র। বেশ কিছু জার্মান কোম্পানি এ ক্ষেত্রেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রকেটের মতো স্যাটেলাইটের জগতেও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা কম নয়। অ্যানালিস্ট হিসেবে নিনা স্টারি বলেন, আমাদের মতে, নিজস্ব বিজনেস মডেল ও পণ্যের মাধ্যমে সত্যি একটা সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি। অর্থাৎ কোনো ব্যবহারিক সমস্যা দূর করতে হবে। মহাকাশ থেকে তথ্য আসছে বা ‘স্পেস সলিউশন› প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, তা গ্রাহকের কাছে জরুরি নয়। তার অর্থনৈতিক সুবিধা কী, সেটা স্পষ্ট করে দিতে হবে। ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।