পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
শিক্ষার্থীদের আয়ের তেমন কোনো উৎস না থাকাতে তাদের ব্যয় নির্বাহ অনেক কঠিন। সেকারণেই নগর পরিবহনে তাদের হাফ পাস নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু হাফ পাস নিয়ে গাড়ির মালিক এবং চালকেরা মানতে চাইছে না। তবে এই দাবি তাদের না মানার পিছনে বড় কারণ ৫৭ বছর আগের প্রথা, যা এখনও কোনো লিখিত আইনে পরিণত হয়নি। কিন্তু এত আন্দোলনের পরও কেনো লিখিত আকারে আইন পাস হচ্ছে না কেন, সেটাই বড় প্রশ্ন! এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ঢাকা শহরে মোট যাত্রীর মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। এত অল্প শিক্ষার্থীর জন্য অর্ধেক ভাড়ার বিষয়টি দাবি মানা এত কঠিন কিছু নয়। সরকারি প্রজ্ঞাপন বা ঘোষণা না থাকলেও পাকিস্তান আমল থেকেই তারা এই অধিকার ভোগ করে এসেছে। সম্ভবত ১৯৬৪ সালে বিআরটিসি বাস দিয়ে হাফ পাস ভাড়া পদ্ধতি চালু হয়। ইতিহাস বলছে, আন্দোলন করে ছাত্ররা এই অধিকার অর্জন করেছে। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবির একটি ছিল ‘হাফ ভাড়া’ নির্ধারণ। আবার ২০১৮ সালেও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ঢাকা অবরোধ করা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির ভেতরে অন্যতম ছিল, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এত আন্দোলনের পরও কোনো লিখিত আইন করা হচ্ছে না। শুধু মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তাই, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরে লিখিত আইন পাসের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
মাজহারুল ইসলাম শামীম,
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।