মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে হঠাতই উত্তপ্ত মথুরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর মথুরায় তারা শাহি ইদগাহে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বসাবে এবং জলাভিষেক করবে। তাদের দাবি, ওটাই শ্রীকৃষ্ণের আসল জন্মস্থান। এর পাশাপাশি নারায়ণী সেনা নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ঘোষণা করেছে, তারা মসজিদ সরিয়ে নেয়ার দাবিতে বিশ্রাম ঘাট থেকে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান পর্যন্ত মিছিল করবে।
এই দুই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন মথুরা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। চার বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে। নারায়ণী সেনার সম্পাদক অমিত মিশ্রকে কোতয়ালি থানায় আটকে রাখা হয়েছে। তাদের সভাপতি মনীশ যাদবকে লখনউতে আটক করা হয়েছে। মথুরার জেলাশাসক নভনীত সিং চাহাল বলেছেন, মথুরায় কাউকেই শান্তি ও সম্প্রীতি ভঙ্গ করতে দেয়া হবে না। তিনি ও পুলিশ সুপার গৌরব গ্রোভার বলেছেন, মন্দির ও মসজিদ দুই জায়গাতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। কাওয়ামি একতা মঞ্চের তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে আরো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার অনুরোধ করা হয়েছে। মসজিদে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বসানো নিয়ে প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছিল হিন্দু মহসভা। কিন্তু তাদের ওই অনুরোধ খারিজ করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, শান্তিভঙ্গ হতে পারে, এমন কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। এর আগে হিন্দু মহসভার নেত্রী রাজ্যশ্রী চৌধুরী দাবি করেছিলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংসের দিন তারা শাহি ইদগাহে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি বসাবেন। আর মহা-জলাভিষেক করে পুরো জায়গাটা পবিত্র করা হবে।
প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘মথুরা সঙ্ঘ পরিবারের এজেন্ডায় আগে থেকেই ছিল। কাশীও আছে। মথুরাতে এখন যা হচ্ছে তা সঙ্ঘ পরিবার নয়, ছোট কয়েকটি দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠী করছে।’ তার মতে, ‘মথুরার বিষয়টি নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা দেখার।’ বিরোধী দলগুলো বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ তার ভাষণে এমন কথা বলছেন, এমন প্রসঙ্গ টানছেন, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হতে বাধ্য। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের দাবি, যোগী সরকার অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির কাজ সুগম করছে। সপ্তদশ শতকের মসজিদটি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে একটি মামলা এখন স্থানীয় আদালতে বিচারাধীন। স্থানীয় আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। সূত্র : পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।