মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিরোধীদের প্রবল হইচইয়ের মধ্যে গতকাল ভারতের লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা। তার পর সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন স্থানীয় সময় বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
পরে অধিবেশন ফের শুরু হতেই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ উপস্থাপণ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ দিনই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল রাজ্যসভায় পেশ হয়েছে। এ দিকে এখনও কৃষকরা দিল্লি সীমানায় বসে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুপরবের দিন মৌখিক ভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি ছিল, সংসদে আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহার না হওয়ার পর্যন্ত অবস্থান চলবে। গতকাল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই এ নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। সরকার পক্ষ সেই দাবি না মানায় শুরু হয় হই-হট্টগোল। শেষ পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয় স্পিকারকে। পরে অধিবেশন শুরু হতেই লোকসভায় প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। ধ্বনিভোটে তা পাশ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে রোববার সর্বদলীয় বৈঠকেও কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের প্রসঙ্গ তোলে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে। শুধু আইন প্রত্যাহার নয়, কৃষি উৎপাদনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন আনার ব্যাপারে চাপ দিতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। তবে সেই চাপে মাথা নত করতে নারাজ কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এমএসপি আইনের দাবি তুলেছে। এই আবহে মোদির ঘোষণা অনুযায়ী লোকসভায় পাশ হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এরপর রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হলে তা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে সইয়ের জন্য। তখনই আইনত বাতিল হবে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। তবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই এমএসপি নিয়ে চাপ দেয়ার কৌশল অবল্মবন করেছে বিরোধীরা। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।