মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুমুল হৈ-হট্টগোলের মধ্যে ভারতের জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভায় বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বিল পাশ করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি মেনে কোনো আলোচনার সুযোগ না দিয়েই সরকার পক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে আজ শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের সমস্ত বিষয়ে সংসদে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর সরকারই কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত আইন প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনার সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিরোধীরা।
আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু করে ১২টার মধ্যেই মুলতবি ঘোষণা করতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা। বেলা ১২টায় ফের অধিবেশন শুরু হতেই হৈচৈ শুরু হয়। বিরোধিতার মধ্যেই ১২টা ৬ মিনিটে লোকসভায় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল পেশ করেন। আর ১২টা ১০ মিনিটের মধ্যেই ধ্বণি ভোটে বিলটি গৃহীত হয়। এরপরই দিনের মতো মুলতবি ঘোষিত হয় লোকসভা। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার নিজেই সংসদের পরিবেশ নষ্ট করছে।
আজ সোমবার ২৫ দিনের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার সংসদে বিরোধীদের সমস্ত বক্তব্য শুনতে বা তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে প্রস্তুত। কিন্তু বিরোধীদের উচিত, অধ্যক্ষ বা সংসদের সম্মানের কথা মাথায় রাখা।
কিন্তু অধিবেশনের প্রথম দিনই তুমুল হৈ-হট্টগোলের সাক্ষী রইল ভারতীয় সংসদ। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবির পাশাপাশি কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার দাবিতে সোচ্চার হন বিরোধীরা। তাঁদের আলোচনার সুযোগ না দেওয়ায় অধিবেশনের প্রথম দিনই মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি খেলাপের অভিযোগ উঠেছে।
অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেন, অন্নদাতাদের (কৃষক) জন্য সূর্যোদয় অপেক্ষা করছে। কিন্তু আলোচনার সুযোগ না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। জানান, সংসদের পবিত্রতা রক্ষায় কংগ্রেস সব সময়ই যত্নশীল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রকে অপমান করছে বিজেপি।
এদিকে, অধিবেশন শুরুর আগেই ভারতে বিরোধীদের অনৈক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কংগ্রেসের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, বিজেপির সুবিধার্থে তৃণমূল বিরোধী ঐক্য চায় না। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়াণ। তিনি বলেন, তৃণমূল বিরোধী ঐক্যের পক্ষে। তবে কংগ্রেসের কাছে দাসখত লিখে নয়। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।