Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে ৮৪টি স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা ও টিকে গ্রুপের অবৈধ স্থাপনাসহ প্রায় ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকায় চলে এ উচ্ছেদ অভিযান।

তারাব পৌরসভা এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসার। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেনÑ বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সীমানা পিলার এবং ওয়াকওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহনেওয়াজ কবির প্রমুখ।
অভিযানকালে তারাবো এলাকায় সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন টিকে গ্রুপের বাউন্ডারী দেয়ালসহ ৬টি টিনশেড স্থাপনা, তারাবো বাজার এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে তোলা ১টি পাকা দোতলা ভবনের আংশিক, ১০টি সেমিপাকা দোকান, ৬টি করাতকলের বর্ধিতাংশ, ১১টি কাঁচাপাকা স্থাপনাসহ ৩৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় নদীর কমপক্ষে দেড় একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। উচ্ছেদকৃত জমিতে শিগগিরই সীমানা পিলার স্থাপন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে কাঞ্চন পৌর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে শুরু করে দাউদপুর ইউনিয়ন এলাকার ১৫টি ইটভাটাসহ প্রায় ৫০টি অবৈধভাবে দখল করা জমি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করা হয়। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক নুর হোসেন, তিতাস গ্যাস রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও শাখার কারিগরি টেকনিশিয়ান আরিফ হোসেন, খৈয়াম ব্যাপারীসহ আরো অনেকে।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর তীরের ভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে নদীর দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. নুর হোসেন বলেন, ১৫টি ইট ভাটাসহ মোট ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে যারাই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন আহবান জানাই অতি দ্রুত নিজেরাই সড়িয়ে ফেলুন। নচেৎ আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নদী রক্ষা করার দায়িত্বও সবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্ছেদ

১৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ