Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইউপি নির্বাচনে এত আদম সন্তান নিহত হলো কেন?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

২০১৬ সালের ভয়াল ও তিক্ত অভিজ্ঞতার পরেও ২০২১ সালে দলীয় ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করা হলো কেন? আর পার্টি টিকেটে নমিনেশন দেওয়া এবং নির্বাচন করার ফলে যে বিষময় পরিণতি হওয়ার কথা তাই হয়েছে। ১২ নভেম্বর দৈনিক ‘ইনকিলাবের’ প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদ মোতাবেক চলতি বছরের শুরু থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাক নির্বাচন, নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৯২ জন আদম সন্তান মারা গেছে এবং ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছে। ৪৬৯টি সহিংসতার ঘটনায় এরা হতাহত হয়েছে। ইউপি ইলেকশন হবে ৫ ধাপে। তার মধ্যে দুইটি ধাপের ইলেকশন হয়ে গেল। আর এই দুই ধাপেই ৯২ জন নিহত হয়েছে। আরও তিনটি ধাপ রয়ে গেল। সেই তিনটি ধাপের ইলেকশনে আরো কতজন মারা যায় এবং কত জন আহত হয় সেটি আল্লাহ্ মালুম।

এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তো বিএনপিসহ প্রধান বিরোধী দলসমূহ অংশ নিয়েছিল। তাই তর্কের খাতিরে বলা যায় যে, ৫ বছর আগে সরকার এবং বিরোধীদের সংঘর্ষে ঐ প্রাণহানি ঘটেছে। ‘ডেমোক্র্যাসি ওয়াচ’ নামক একটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন পূর্ব ও নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে ২০১৬ সালে ৮৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু নির্বাচনের দিনই নিহত হয়েছে ৫৩ ব্যক্তি। এই বিপুল সংখ্যক ব্যক্তির মৃত্যু এবং সহস্রাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৫ বছর আগেও যেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তেমনি ৫ বছর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবার হচ্ছে একদলীয় নির্বাচন। এবার তো আর বিএনপি-জামায়াত ইলেকশনে অংশ নেয়নি। তারা বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি অংশ নিয়েছে। কিন্তু তাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ বিরোধী দল বলতে নারাজ। তারা জাতীয় পার্টিকে বলে, ‘হার ম্যাজেস্টিজ লয়াল অপোজিশন’, অর্থাৎ ‘মহামান্যার অনুগত বিরোধী দল’। সেই জন্যই বলছিলাম যে, এটি তো ছিল একতরফা নির্বাচন। যিনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন পেয়েছেন তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ক্যান্ডিডেট। যিনি নমিনেশন পাননি তিনি অভিহিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে। বিদ্রোহী প্রার্থী যারা জয়লাভ করেছেন তারা কিন্তু আওয়ামী লীগেই থেকে যাচ্ছেন। তাহলে ইলেকশন হয়েছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ। আর এমন একটি সমীকরণে ৯২ জন আদম সন্তানের হত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গৃহীত হবে, তেমন প্রত্যাশা করা খুব বেশি আশা করা হবে বলেই মনে হয়।
তাহলে চেয়ারম্যান এবং মেম্বার পদের জন্য নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ভাষায় এমন ‘রক্তাক্ত নির্বাচন’ হলো কেন?

॥দুই॥
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু সালেহ্ মোহাম্মদ শহীদ খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেই নিজেদেরকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে। যাদের মার্কা আছে, তাদের তো মার্কা আছেই। যারা মার্কা পাননি তাদেরও তো গড ফাদার আছে। গড ফাদার না থাকলে তারা এত সাহস পায় কোত্থেকে?’ অতঃপর তিনি বলেন, ‘রাজনীতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন কেউ আর জনসেবার চিন্তা করেন না। সবাই চিন্তা করেন কীভাবে তারা নির্বাচিত হবেন এবং নির্বাচিত হওয়ার পর কীভাবে এলাকায় একচ্ছত্র কর্তৃত্ব স্থাপন করবেন। কারণ, এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য, বালুমহাল, হাটবাজারসহ অনেক কিছু আছে যেখান থেকে তারা ব্যবসা করতে চান, চাঁদা তুলতে চান, দুর্নীতি করতে চান। এখানে প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ মানুষকে চাপের মুখে ফেলে চাঁদা আদায় করতে চান। একারণেই যেভাবেই হোক, তারা জিততে চান। এমন যেখানে উদ্দেশ্য, সেখানে জিততে হলে সংঘর্ষ হবেই, সেখানে পেশী শক্তির ব্যবহার হবেই।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষক শারমিন মুর্শেদ বলেন, ‘যেহেতু এখন আমাদের গণতন্ত্রে বহু দলের অংশগ্রহণ নাই, একটি প্রধান দলের অংশগ্রহণেই নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে গণতন্ত্র বলে কিছু কাজ করছে না। এটা এখন নির্বাচন নয়, জায়গা দখলের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।’ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এখন নির্বাচন কমিশন একেবারে জিরো। নির্বাচন পরিচালনা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এসব কারণে মারামারি হচ্ছে। আরো হবে। এটা তো কেবল শুরু।’ ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত আরো বলেন, ‘এখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া মানে সে অনেক ক্ষমতাবান। এমনকি তাঁর সাপোর্টে এমপিরা চলেন। বেশিরভাগ এমপির তো কোনো জনসমর্থন নাই। তারা একটু ভয়ে ভয়ে থাকেন। সুযোগ পেলে লোকজন তাদেরকে দৌড়াবে। সেই জায়গায় এই তৃণমূলের সাপোর্ট খুব প্রয়োজন। র‌্যাব পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এমপি সাহেবরা প্রশ্ন করছেন, ‘ব্যবস্থা নিলেন কেন?’ আওয়ামী এমপিরা যে ইউপি ইলেকশনে তাদের ক্ষমতা এবং প্রভাব অবৈধভাবে খাটিয়েছেন, নিচে তার কয়েকটি প্রমাণ দেওয়া হলো।

॥তিন॥
শরীয়তপুর-১ এর এমপি (সদর উপজেলা এবং জাজিরা) ইকবাল হোসেন গত ২৮ অক্টোবর চিতোলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং অফিসারকে বলেন যে, এই ইউপিতে কোনো ইলেকশন হবে না। সকলেই সিলেক্টেড হবেন। অনেক প্রার্থী বলেন যে, যেসব প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করা হয়েছে সেগুলির অধিকাংশ দরখাস্তকারীর স্বাক্ষর ভুয়া। তাদের স্বাক্ষর জাল করে তাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার আলমগীর হোসেনের কাছে গেলে তিনি বলেন যে, এমপি সাহেবের নির্দেশেই এগুলি ঘটেছে। এসম্পর্কিত একজন প্রার্থী এবং রিটার্নিং অফিসারের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে (ডেইলি স্টার, ১৪ নভেম্বর, পৃষ্ঠা ২)।

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর কোনো ভোট হবে না। একটি ভোটও ব্যালটবক্সে না পড়লেও এই ১৪টি ইউপির চেয়ারম্যান এবং মেম্বার সিলেক্ট করা হয়ে গেছে। এরা সকলেই স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর লোক।

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার পাঁচটি ইউপির সমস্ত চেয়ারম্যান এবং মেম্বার বিনা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন। তারা সকলেই প্রাক্তন এম পি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার লোক (ডেইলি স্টার, ১৪ নভেম্বর, পৃষ্ঠা ২)।

গাইবান্ধার লক্ষীপুর ইউপি সদস্য আবদুর রউফ ছাড়াও পীরগাছায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুর রহিম নামক এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হতাহতের বিস্তারিত ফিরিস্তি দিতে গেলে একটি মহাকাব্য রচনা করতে হবে। তাই আমরা সেই বিস্তারিত বিবরণে না গিয়ে কতিপয় আওয়ামী নেতার রক্ত হিম করা হুংকার তুলে দিচ্ছি।
রাজশাহী ১ আসনের আওয়ামী লীগ এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এই বলে হুমকি দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে যে কাজ করবে বা কথা বলবে তাকে কলমা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেক গ্রামে একথা ঘোষণা করে দেন, যে ব্যক্তি নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলবে বা কাজ করবে কলমার মাটিতে তার ঠাঁই হবে না। এই বক্তব্য প্রচার ও মেনে চলার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন।

রাজশাহীর ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির চেয়েও ভয়ঙ্কর হুংকার ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়ন ইলেকশনে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জেতানোর জন্য আব্দুল্লাহ মামুন প্রয়োজনে এ কে-৪৭ রাইফেল ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, প্রয়োজনে এ কে-৪৭ রাইফেল ব্যবহার করা হবে। তিনি নির্দেশ দেন যে নৌকার ভোট ‘কাইত্যার’, অর্থাৎ বাঁশ বা বেতের চাটাইয়ের তলে হবে না, হবে টেবিলের ওপর এবং ওপেন। যারা কথা শুনবেন না, তাদের জন্য ‘খবর’ আছে। আব্দুল্লাহ আল মামুনের হুমকি সম্বলিত বক্তব্যের ৭ মিনিট ১০ সেকেন্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাজিতপুরের সাচ্চু হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি এই হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআই। গত বছরের ১১ নভেম্বর এই মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। চার মাস জেল খাটেন তিনি। কর্মী-সমর্থকদের অভয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের, পুলিশ আমাদের, সরকার আমাদের।’

শুধু এই দুইজন নেতা নন, গত ৫ নভেম্বর কালকিনি উপজেলার লক্ষ¥ীপুর ইউনিয়নের এক পথসভায় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন মোল্লা বলেন, এই ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিলে কারো বেঁচে থাকার অধিকার নাই। তিনি আরো বলেন, মাদারীপুর ৩ আসনের এমপি আবদুস সোবহান গোলাপ এতো নরম নন। রবিবার থেকে তিনি স্টিমরোলার চালাবেন। আমি চলব দুইটা অস্ত্র লইয়া। কারো বাপের পুত থাকলে তারা যেন সামনে আসে। গত একমাসের পত্রপত্রিকা ঘাঁটলে এই ধরনের অসংখ্য খবর চোখে পড়বে।
গত ১ নভেম্বর শরিয়তপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাশেম তরফদার হুঙ্কার দেন যে, ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে কাউকে ভোট চাইতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খানের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় তিনি এই হুমকি দেন। হাশেম তরফদারের হুমকির ভিডিও ক্লিপিং ভাইরাল হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদি পালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী প্রধান বলেন, এই নির্বাচনে যারা আওয়ামী প্রার্থীকে ভোট দেবে না তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মৃত্যুর পর হলদি পালং এর মাটিতে তাদের কবর হবে না। (ডেইলি স্টার: ১০ নভেম্বর, পৃ: ২, কলাম: ১)।

মৃত্যুর মিছিল কোনটি বড়? ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের? নাকি ২০২১ সালের নির্বাচনের? দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্ট মোতাবেক চলতি ইউপি ইলেকশনে মৃত্যু ঘটেছে ৯২ জনের। আর সুজনের রিপোর্ট মোতাবেক ২০১৬ সালের নির্বাচনে খুন হয়েছেন ১৪৭ জন। (ডেইলী স্টার: ১০ নভেম্বর, পৃ: ২, কলাম: ২)।

॥চার॥
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বলেছেন, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। যা হয়েছে সেটি একটি অরাজকতা বা নৈরাজ্য। সাখাওয়াত প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, এবারের ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন গেছে আইসিইউতে, আর গণতন্ত্র গেছে লাইফ সাপোর্টে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি ইউপিতে পার্টি টিকেট বা দলীয় ভিত্তিতে ইলেকশন না করে শতবর্ষের ঐতিহ্য মাফিক নির্দলীয়ভাবে ইউপি ইলেকশন করার সুপারিশ করেছেন। তিনি এই নির্বাচনকে ‘রক্তাক্ত নির্বাচন’ বলেছেন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের দুইটি নির্বাচন রক্তক্ষয়ী হলো কেন তার বিশদ কারণ বর্ণনা করা হয়েছে ওপরে বর্ণিত আলোচনায়। ১৮৮৫ সালে ইংরেজ শাসনামলে ভারতবর্ষে যে স্থানীয় সরকার আইন জারি করা হয় তার ভিত্তি ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন। ২০১৫ সালে ১৩০ বছরের এই আইনটিতে অকস্মাৎ সংশোধনী আনা হয় এবং দলীয় ভিত্তিতে ২০১৬ সাল ও ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। আর এই সংশোধনেরই বিষাক্ত পরিণতি হলো ১৪৭+৯২ সমান ২৩৯ জন আদম সন্তানের ঝরে যাওয়া।
E-mail: [email protected]



 

Show all comments
  • মিনহাজ ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৩৫ এএম says : 0
    এর উত্তর সরকার ও প্রশাসন সবাইকে দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • হুমায়ূন কবির ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:২৯ এএম says : 0
    ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত ঠিক বলেছেন, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি। যা হয়েছে সেটি একটি অরাজকতা বা নৈরাজ্য।
    Total Reply(0) Reply
  • গোলাম কাদের ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৩০ এএম says : 0
    দেশে এখন রক্ত দিয়ে হোলি কেলা চলছে ........
    Total Reply(0) Reply
  • মাজহারুল ইসলাম ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৩১ এএম says : 0
    এরকম নির্বাচন আয়োজন করে মানুষ মারার কোন মানে হয় না
    Total Reply(0) Reply
  • টুটুল ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৩৬ এএম says : 0
    এটা এখন নির্বাচন নয়, ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • সফিক আহমেদ ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫৭ এএম says : 0
    যেহেতু আওয়ামীলীগ একা নির্বাচন করছে, তাই ইলেকশন না করে সিলেকশন করলেই ভালো হয়
    Total Reply(0) Reply
  • গিয়াস উদ্দিন ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫৭ এএম says : 0
    এর জবাব সরকারকে দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন