বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুঠোফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাঁকে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদ সারোয়ার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের বালুর পাড়া।
এছাড়া তিনি ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা যায়। শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, নানা অপরাধমূলক কাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন পদচারী সেতুর ওপর দুইজন ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়। এসময় সাজ্জাদকে তাড়াহুড়ো করে পদচারী সেতু থেকে নামতে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁরা সাজ্জাদকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তবে নিজে ফোন ছিনতাই করেননি বলে দাবি করেছেন সাজ্জাদ। তাঁর দাবি, সজল নামে একজন ফোন ছিনতাই করে তার কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ফোন ছিনতাই করিনি। সজল এই ফোনটা আমাকে দিয়েছে এবং ফোনটা এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর। সে ছিনতাই করে থাকতে পারে।’
এছাড়া ছিনতাইয়ের এই ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মামুন খান ও ৪২ তম ব্যাচের মো. রাসেল ছাড়াও মো. সজল নামের স্থানীয় এক যুবক জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘সাজ্জাদের সাথে কথা বলে আরো কিছু নাম এসেছে। যাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ছিলো। আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। পুলিশ বাকি ছিনতাইকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।’
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আরো যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।