পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
শীত এলেই অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখিরা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে। স্বল্প-বিরতিতে আসা এ পাখিগুলো এখানে এসে যে শুধু নিজেরাই উপকৃত হয় তা নয়, অতিথি পাখির কারণে আমরাও উপকৃত হই। প্রকৃতির শোভাবর্ধনের বিষয়টি তো রয়েছেই; এসব পাখি ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের সরাসরি উপকার করে। ফলে এর সঙ্গে ফসল উৎপাদন বাড়ার বিষয়টি জড়িত। অন্যদিকে অতিথি পাখির কারণে শীতে অভ্যন্তরীণ পর্যটন বাড়ে। কিছু বিশেষ অঞ্চল, যেমন নাটোরের চলনবিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গুয়ার হাওর প্রভৃতি এলাকায় বাড়ে পর্যটকদের সমাগম, যা দেশীয় পর্যটন শিল্পের জন্য ইতিবাচক। এসব পাখিদের মধ্যে রয়েছে এদের মধ্যে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাংগাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালি কাস্তে, চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদাখোচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, পাখিদের নিরাপত্তা সরকারিভাবে দেবার বিধান থাকলেও, তা কার্যকর না থাকায় এগুলোর মধ্যে অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। শিকারীদের ফাঁদে পড়ে প্রতিবছর অতিথি পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সুতরাং, এভাবে অতিথি পাখি নিধন অব্যাহত থাকলে আমরা একসময় এসব অতিথি পাখির সুফল থেকে বঞ্চিত হবো এবং প্রকৃতি হারাবে তার নিজিস্ব রূপ।
ইমরান হোসাইন
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।