Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘তিন ফাইনাল’ই ভরসা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

দুই তাসমানিয়ান প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট মাঠে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। সেই সময়ে ক্রিকেটবিশ্বে রাজত্ব করছিল অস্ট্রেলিয়া। তাসমান সাগরের অপর পাশের দল নিউজিল্যান্ডকে তারা পাত্তাই দিত না। ক্রিকেট মাঠে দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ের এ রূপ বদলাতে শুরু করে সত্তরের দশক থেকে। বিশেষ করে ১৯৭৪ সাল থেকে। সে বছর নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান গ্লেন টার্নার দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। কিউইরা ম্যাচটি জেতে ৫ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটিই কিউইদের প্রথম টেস্ট জয়।
সাদা পোষাকের সেই বর্ণিল আমেজ থেকে রঙিন জয়ের ভুবনে প্রবেশ করতে কিউইদের লেগেছে দীর্ঘ সময়। সেটিও ক্রিকেট ইতিহাসে অমলিন। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের ম্যাচটি বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলে মনে করেন অনেকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ১০৬ রানেই ৯ উইকেট হারিয়েছিল। ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, একটি একপেশে ম্যাচই হতে যাচ্ছে। ৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুলে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ২৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং এলোমেলো করে দেন। পরপর দুই বলে কিউদের অষ্টম ও নবম উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন স্টার্ক। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্ট দুটি বল সামলে নেওয়ার পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন পরের ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়সূচক রান এনে দেন ছক্কা মেরে।
এই দুটি লড়াইকে আজ ভাগ্য বদলের রসদ হিসেবে নিয়েই ইতিহাস বদলের মিশনে নিউজিল্যান্ড। সেই সলতেতে আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছে সর্বশেষ তিন ফরম্যাটের তিনটি ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর প্রথমবারের মত ক্ষুদ্র ফরম্যাটের ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করতে চান অধিনায়ক উইলিয়ামসনও, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ দুই আসরের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম ফাইনাল খেলছি আমরা। শিরোপা জিতে এই প্রথমকে স্মরনীয় করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিপক্ষে জিততে হলে, তিন বিভাগেই তাদের চেয়ে ভালো খেলতে হবে। ম্যাচের শুরু থেকেই অজিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’
এতো গেল কথার লড়াই। মাঠের লড়াইয়ে জিততে হলেও বেশ বড় এক বাধা ডিঙাতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ডেভন কনওয়েকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারিয়েছে কিউইরা। ঘটনাটা অনেকটা নিজের হাতেই গড়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনালে ৪৬ রান করে আউট হবার পর ক্ষোভে নিজের ব্যাটে নিজেই ঘুষি মেরে হাতে আঘাত পান নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে। প্রথমে গুরুতর কিছু মনে না হলেও ম্যাচ শেষে এক্স-রে করার পর রিপোর্টে দেখা যায় ডান হাতে কনিষ্ঠা আঙুল ভেঙে গেছে কনওয়ের। আর এতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে পারবেন না এ ৩০ বছর বয়সী। অধিনায়কের সঙ্গে এ নিয়ে হতাশার শেষ নেই নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেডেরও।

যেভাবে ফাইনালে
তারিখ প্রতিপক্ষ ব্যবধান
২৬ অক্টোবর পাকিস্তান ৫ উইকেটে হার
২৮ অক্টোবর ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
৩ নভেম্বর স্কটল্যান্ড ১৬ রানে জয়ী
৫ নভেম্বর নামিবিয়া ৫২ রানে জয়ী
৭ নভেম্বর আফগানিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
১০ নভেম্বর ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: "টি২০ কাপ"

১৪ নভেম্বর, ২০২১
১৪ নভেম্বর, ২০২১
১৩ নভেম্বর, ২০২১
১৩ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ