নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৮তম ওভারে পেসার হাসান আলী যখন আক্রমণে এলেন, তখন জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৮ বলে ৩৭। মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাথু ওয়েডের মধ্যে দারুণ এক জুটি জমে উঠেছে। তবে স্টয়নিস যতটা ছন্দে, ওয়েড তখনো নিজেকে গুছিয়ে উঠতে পারেননি। স্টয়নিসকে একপ্রকার সঙ্গই দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হাসান আলীর করা ওই ওভারেই জেঁকে বসলেন ওয়েড। এক চার ও এক ছক্কায় তিনি নিলেন ১৩ রান। সে ওভারে এল ১৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার তখন জিততে লাগবে ১২ বলে ২২।
এবার বোলিংয়ে এলেন পাকিস্তানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদি আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। ফিরিয়েছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে। আরেকটু হলেই তার শিকার হতে পারতেন মিচেল মার্শ। বাবরের আশা, এ ওভারেই লক্ষ্যমাত্রাটা অস্ট্রেলিয়ার নাগালের বাইরে নিয়ে যাবেন আফ্রিদি। শাহিনের তৃতীয় বলেই বড় এক সুযোগ এল। ডিপ মিড উইকেটে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ওয়েড। কিন্তু সেই ক্যাচ ফেলে দিলেন হাসান আলী। কিছুটা দৌড়ে আসতে হলেও ক্যাচটা একদম হাতেই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহজ এই ক্যাচ হাত থেকে ছুটে যায় হাসানের। অনেক মূল্য দিয়ে এই ভুলের দাম চোকাতে হয় পাকিস্তানকে। নতুন জীবন পেয়ে ওয়েড আর কোনো সুযোগই দেননি পাকিস্তানকে, শাহিনের পরের তিন বলে টানা তিন ছক্কায় বাবর-শাহিনদের স্বপ্ন শেষ করে দেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই হাসান আলী এখন মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। পাকিস্তানের সবার ক্ষোভও তার ওপর পড়াই স্বাভাবিক। হাসানের এমন দুরবস্থায় তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি পেসার ও ধারাভাষ্যকার ওয়াসিম আকরাম। তিনি চান না যে দেশের সবাই এখন হাসানকে গালমন্দ করুক, ‘আমরা একদমই চাই না যে দেশের সবাই এখন বেচারা হাসানের পেছনে লাগুক। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমি আর ওয়াকার ইউনিসও গিয়েছি। অন্যান্য দেশে ক্রিকেটটা শুধুই একটা খেলা। দিনের শেষে সেখানে “ভালো খেলেছ”, “চেষ্টাটা ভালো ছিল”, “পরেরবার ভালো হবে” ইত্যাদি বলে ব্যাপারটা ভুলে যাবেন। এভাবে ক্যাচ মিস মেনে নেওয়া খেলোয়াড়দের জন্য যতটা কঠিন, সমর্থকদের জন্যও ততটাই কঠিন।’ খেলোয়াড়দের এমন মানসিক অবস্থায় তাঁদের আর কষ্ট দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ওয়াসিম, ‘খেলোয়াড়েরা চুপচাপ তাদের রুমে চলে যাবে, এমনকি নিজেদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলবে না। এই হার তাদের অনেক দিন দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াবে। ফলে জাতি হিসেবে তাঁদের এ কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের উচিত হবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।