মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বায়ুর মান এবং দূষিত শহর চিহ্নিত করার সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের কথা তুলে ধরেছে। ভারতেরই তিন শহর রয়েছে এ ক্ষুদ্র তালিকায়! আইকিউএয়ার নামে সুইস সংস্থাটি রাষ্ট্রপুঞ্জের দূষণ সংক্রান্ত প্রোগ্রামের তথ্যপ্রযুক্তি সহায়ক।
সুইস সংস্থার দেয়া তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে দিল্লির নাম। নভেম্বরের শুরু থেকে বিষাক্ত থেকে বিষাক্ততর হচ্ছে দিল্লির বাতাস। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লির বায়ু মান সূচক আরও কিছুটা বেড়ে শনিবার সকাল নাগাদ দাঁড়ায় ৫৫৬। শিগগিরই পরিবহন ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। প্রতি বছরই দীপাবলির পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিতে। বাজি পোড়ানোর পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের কৃষি জমিতে ফসলের গোড়া পোড়ানো এর অন্যতম কারণ।
বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসাবে পাকিস্তানের লাহোরের নাম উঠে এসেছে। সম্প্রতি লাহোরের হাইকোর্টেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি সেখানকার প্রশাসনিক কর্তারা। তৃতীয় দূষিত শহর বুলগেরিয়ার সোফিয়া। বায়ু মান সূচক ১৭৮। এটি ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত শহর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি বছর বুলগেরিয়ার ন’হাজার মানুষ বায়ুদূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
চতুর্থ দূষিত শহর কলকাতা। কলকাতার পরিস্থিতিও ভয়ানক। এ শহরের বায়ু মান সূচক ১৭৭। অত্যধিক কলকারখানা এবং যানবাহনই এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সুইস সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেব-এর অবস্থা শীতকালে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় পুরো শহর। শ্বাস নেওয়াও সমস্যা হয় বাসিন্দাদের। পঞ্চম দূষিত এই শহরের বায়ু মান সূচক ১৭৩।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারতের আর এক শহর মুম্বাই। কলকাতার থেকে দূষণের নিরিখে একটু পিছিয়েই রয়েছে মুম্বাই। এর বায়ু মান সূচক ১৬৯। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড ইউরোপের আদি শহর। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন খনি এই শহরের দূষণের মূল কারণ। এ ছাড়া কারখানা এবং যানবাহনের ধোঁয়া তো রয়েছেই। সমীক্ষা অনুযায়ী, এর বায়ু মান সূচক ১৬৫।
অষ্টম স্থানে রয়েছে চীনের চেঙ্গডু। এর বায়ু মান সূচক ১৬৫। কারখানা এবং অত্যধিক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ না করলে এই শহরের পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। কারখানা থেকে বেরনো ধোঁয়া, যানবাহন এবং গৃহস্থালির ধোঁয়ার কারণে দূষণের চাদরে ঢেকে গিয়েছে উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার শহর স্কপজে। এর বায়ু মান সূচক ১৬৪। বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের জন্য প্রত্যক্ষভাবে প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এখানে। পোল্যান্ডের ক্রাকো বিশ্বের দশম দূষিত শহর। সুইস সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, এর বায়ু মান সূচক ১৬০। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।