নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাত্রই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসের ফুলটসটাকে চার বানিয়ে নিউজিল্যান্ড দলকে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছেন ড্যারেল মিশেল, যিনি কিনা এই বিশ্বকাপের আগে কখনও ওপেনিংই করেন নি! তিনি ছিলেন ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল ওপেনার’। হুট করেই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে দায়িত্ব নিয়েছেন।
উদযাপনটা খুব স্বাভাবিক। বোলিং কোচ শেন বন্ড, প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড, দীর্ঘদেহী স্পিডস্টার কাইল জেমিসনদের উন্মত্ত উল্লাস করারই কথা ছিল।
অথচ, জিমি নিশামকে দেখুন। সেই জিমি নিশাম, যিনি ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে জোফরা আর্চারকে ছয় মেরেছিলেন বটে, কিন্তু জেতা হয়নি, অথবা অদ্ভুত এক নিয়ম তাদের জিততে দেয়নি, মূল ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাউন্ডারি নিয়ে প্রথমবারের শিরোপা জিতে ইংল্যান্ড, টানা দ্বিতীয়বারের মত ফাইনাল থেকে খালি হাতে ফেরে নিউজিল্যান্ড।
সেই ফাইনালের পর নিশাম তরুণদের ক্রিকেট না খেলাতে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাচ্চারা ক্রিকেটে এসো না। অন্যকিছু করো। ৬০ বছরে মারা যাও, মোটা হও সুখে থাকো।’ কতটা যন্ত্রনার আগুনে পুড়লে কেউ এমন বলেন!
সেই নিশাম যন্ত্রনার আগুনে পুড়ে আরো বেশি জ্বলে ওঠার শক্তি পেয়েছেন। তিনি মাত্র ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়া ১১ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। শেষ করতে পারেননি, তবে এতটুকু নিশ্চিত, তিনি না থাকলে নিউজিল্যান্ড জেতে না। নিশাম তাই ম্যাচ জিতে এক ফোটাও নড়েন না। একেবারে স্থির বসে থাকেন, যেন কিছুই হয়নি।
আর ওদিকে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে দেখুন। উন্মত্ত উল্লাস নেই, এমনকি সিট থেকে উঠে সতীর্থদের জড়িয়ে ধরবেন, সেটুকুও নেই। আছে স্রেফ স্মিত এক টুকরো হাসি, শান্ত, ধীর, স্থির, যেন এ লোকের জন্মই ঋষি হবার জন্য!
অথচ, তার ম্যাজিকেই গত বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন এখন তারা এবং প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে। পৃথিবীর আর কোনো দলের এমন অর্জন নেই, যে তিন ফরম্যাটেই সেরা দুইয়ের এক দল! অথচ ৫০ লক্ষ লোকের নিউজিল্যান্ডের আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।