Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আর্টেমিস অভিযান শুরু হবে আগামী বছর

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২১, ১:০৫ পিএম

আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ হিসাবে প্রথম চন্দ্রাভিযানে নভোযান উড়বে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। টেক্সাসের দক্ষিণ পূর্বে একটি জায়গায় স্পেস এক্স-এর তৈরি যে স্টারশিপ মহাকাশযানটি নিয়ে বর্তমানে পরীক্ষার কাজ চলছে, সেই যানটিই ব্যবহার হবে নাসার মুন মিশনে- এই যানটিই মানুষ নিয়ে ১৯৭২ সালের পর আবার নামবে চাঁদের বুকে।

নাসা এতে তার শক্তিশালী স্পেস লঞ্চ সিস্টেম-এর (এসএলএস) রকেট ব্যবহার করে মানুষ বিহীন ওরিয়ন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে। আর্টেমিস প্রকল্পের প্রথম অভিযানে নাসা তার বিশাল এসএলএস রকেট ব্যবহার করে নভোযান পাঠাবে চাঁদের বুকে। ফেব্রুয়ারির এই মিশনে, ওরিয়ন চাঁদের চারপাশে ঘুরবে তিন সপ্তাহ ধরে। এই অভিযানে নাসা তার সিস্টেম ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে।

এরপর ২০২৪ সালে প্রথম নভোচারীদের নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করবে আর্টেমিস-২ নভোযান, জানিয়েছে নাসা। পরের পর্যায়ে পাঠানো হবে আর্টেমিস-৩, যেটি চাঁদের বুকে নামবে। সেটিই হবে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার পর আবার প্রথমবারের মত চাঁদের বুকে মানুষের অবতরণ। এই অভিযানে প্রথমবারের মত অশ্বেতাঙ্গ একজন নভোচারীকে চাঁদে পাঠানো হবে। তবে তিনি আর্টেমিস-৩ নভোযানে থাকবেন না কি এই প্রকল্পের পরবর্তী কোন মিশনে চাঁদে নামবেন তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।

পরিকল্পনা অনুযায়ী আর্টেমিস-৩ নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সেখানকার গহ্বরগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পানি আর বরফ জমা আছে বলে ধারণা করা হয়, যেসব গহ্বরে কখনও সূর্যালোক পৌঁছয়নি। এই গহ্বরগুলোতে সঞ্চিত পানি ব্যবহার করে রকেটের জ্বালানি তৈরি করা হবে, আর এর ফলে চন্দ্রাভিযানের খরচ অনেক কমে আসবে। সূত্র: বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাকাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ