মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মানুষের মন থেকে ঘৃণা মুছে দেবে আতরের সুগন্ধ! এ আতর ব্যবহার করলেই মানুষ সমাজবাদের সুগন্ধ পাবেন! লাল আর সবুজ কাচের বোতলে পারফিউম সামনে এনে এমনই মন্তব্য করলেন অখিলেশ যাদব।
ভারতের উত্তরপ্রদেশে ভোটের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। ২০২২ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশের নজর এখন সে রাজ্যের দিকে। সরকার, বিরোধী সব পক্ষই আসরে। গত ১২ অক্টোবর থেকে বিজয় রথযাত্রা নামে কর্মসূচির মাধ্যমে আসরে নেমে পড়েছে সমাজবাদী পার্টিও। মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই ‘সমাজবাদী আতর’ নামে সুগন্ধীর প্রকাশ করলেন দলের নেতা অখিলেশ। উপস্থিত ছিলেন অন্য বিধায়ক, নেতারাও।
২২টি প্রাকৃতিক সুগন্ধী থেকে এই আতর তৈরি করা হয়েছে বলে জানান হয়েছে। বোতলের গায়ে দলীয় প্রতীক সাইকেলের ছবি থাকছে। বাক্সের উপর থাকছে অখিলেশের একটি ছবিও। কনৌজের সমাজবাদী নেতা, বিধান পরিষদের সদস্য পুষ্পরাজ জৈন এই বিশেষ সুগন্ধী তৈরি করেছেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাম্মি ওরফে পুষ্পরাজ নির্বাচনী শ্লেষ রেখে বলেন, এই আতর অন্য বাজার চলতি সুগন্ধীর থেকে অনেক বেশি প্রভাবশালী ও দীর্ঘস্থায়ী। এই সমাজবাদী সুগন্ধই ২০২২-এ সমস্ত ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা মুছে দেবে।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০১৬ সালেও সুগন্ধী দিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। সে সময় ‘সমাজবাদী সুগন্ধ’ নামে দিয়ে বিলি করা হয়েছিল। তখন অখিলেশ ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সে বার একটি প্যাকেটে চারটি করে বোতল রাখা হয়েছিল, নাম দেয়া হয়েছিল লক্ষ্ণৌ, বারাণসী, আগ্রা এবং কনৌজ। প্রচার কর্মসূচিতে অবশ্য অন্য সব নানা ধরণের সামগ্রীও রাখা হয়েছিল। তারও আগে ২০১২ সালে নির্বাচনের আগেই সমাজবাদী সরকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্য ল্যাপটপ বিলি করেছিল। যা পরবর্তীতে অন্য অনেক রাজ্যই অনুকরণ করেছে। সফলও হয়েছে ভোটের বাজারে।
এদিকে বিজেপি-র কাছে আত্মসম্মানের লড়াই যোগী রাজ্যে। ক্ষমতা ধরে রাখতে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহই নিয়েছেন প্রচারের দায়িত্ব। আগামী ১০০ দিনে ১০০ কর্মসূচী আয়োজনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে দলের অন্দরে। চারটি মেগা র্যালি করবেন নরেন্দ্র মোদি। পাঁচটি সভা করবেন অমিত শাহ। এ মাসেই একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পও উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন মোদি এবং অমিত শাহ। ১৬ নভেম্বর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।