মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারীতে নিম্নমুখী ভারতের অর্থনৈতির অবস্থা। চরম বিপন্ন ব্যবসা। অনেক ব্যবসায়ীই হতাশায় অত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি ব্যবসায়ী মহামারির বছরে আত্মহত্যা করেছেন বলে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) জরিপে উঠে এসেছে।
এনসিআরবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে ১১,৭১৬ জন ব্যসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। এ বছর আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন ১০,৬৭৭ জন কৃষক। আত্মহননকারী ১১,৭১৬ জন ব্যবসায়ীকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে এনসিআরবি। ১১,৭১৬ জন অত্মহননকারীর মধ্যে ৪,৪৫৬ জন ব্যবসায়ী, ৪,২২৬ জন ভেন্ডর ও বাকিরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের নানা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত।
২০১৯ তুলনায় ২০২০ সালে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর আত্মহননকারীর সংখ্যা ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায়ী আত্মহত্যা ২,৯০৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,৩৫৬, যা ৪৯.৯ শতাংশ বৃদ্ধি।
২০২০ সালে ভারতে সর্বমোট আত্মহত্যার পরিসংখ্যান (১.৫৩,০৫২) বেড়েছে ১০ শতাংশ, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।
এ পরিসংখ্যানে আতঙ্কিত ব্যবসায়ী মহল। করোনা মহামারি, লকডাউনের জেরে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থা বেহাল। অনেকেই ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই আবার ঋণের ভারে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলোর অবস্থাও করুণ।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান মাইক্রো স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইসের সচিব অনিল ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর কোভিডের প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, লোনের বোঝা ও ফসলের উৎপাদনহীনতার কারণে কৃষকরা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু স্পষ্ট যে, মহামারির জেরে চরম বেহাল আর্থিক অবস্থা, মানসিক উত্তেজনার চাপে ব্যবসায়ীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’ সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।