মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের আইন থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে বার বার উঠে এসেছে তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের সমানাধিকার কিংবা সমকামী, রূপান্তরকামীদের নিজের শর্তে বাঁচার অধিকার। কিন্তু স্কুলস্তরে এ বিষয়ে সচেতনতার পাঠ পছন্দ নয় জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তারা লিখিত ভাবে কারণ দর্শাতে (শো-কজ) বলেছে।
সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় স্কুলে লিঙ্গনিরপেক্ষ শৌচাগার এবং স্কুলের কার্যক্রমে লিঙ্গপরিচয়ের অভ্যস্ত ছক থেকে বেরিয়ে ভাবতে বলে এনসিইআরটি। ইনক্লুশন অব ট্রান্সজেন্ডার চিলড্রেন ইন স্কুল এডুকেশন-শীর্ষক নির্দেশিকাটিতে এ সব বলা হয়েছে। তাতেই যত গোলমাল। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের তরফে এর নিন্দা করে বলা হয়েছে, এর ফলে ছোটদের এক ধরনের অনাবশ্যক মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণা ও আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেটা অভিপ্রেত নয়।’
লিঙ্গপরিচয় নিয়ে মানসিক টানাপড়েনের শিকার ছোটদের সঙ্গে সংবেদনশীল ব্যবহার এবং হরমোন চিকিৎসার সুযোগসুবিধা নিয়েও দরকারে আলোচনা করতে বলেছেন এনসিইআরটি কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়টিরও নিন্দা করেছে কমিশন। এনসিইআরটিকে এই নির্দেশিকাটি শুধরে জুতসই পদক্ষেপ নিতে বলা ছাড়াও নির্দেশিকাটি কারা কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে তৈরি করেছে তাও সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে কমিশন। কমিশনের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ একটি শিবির সক্রিয় বলেও সূত্রের খবর। তবে কমিশনের সর্বভারতীয় চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন করা হলে অবশ্য সাড়া মেলেনি।
তবে কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে দেশের এলজিবিটিকিউ সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী এখন সরব। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে কমিশনের দরবারে ইমেলও করেছেন। বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিতা সিংহ প্রমুখ সমাজকর্মীদের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টেই পরিষ্কার, সমকামী বা রূপান্তরকামী মনস্ক ছোটদের শতকরা ৮০ ভাগই স্কুলস্তরে পীড়নের শিকার হন। স্কুল ছাড়তেও তাঁরা বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে এনসিইআরটি-র নির্দেশিকাটি ছিল খুবই মানবিক। এর বিরুদ্ধে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের ভূমিকাটি দুর্ভাগ্যজনক।’
পাশাপাশি, এই নির্দেশিকা-বিতর্কে এনসিইআরটি-র পাশে থাকার কথা বলছেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘এনসিইআরটি-র নির্দেশিকা লিঙ্গ নির্বিশেষে সব ছোটদের সমান চোখে দেখার চেষ্টাই করছিল। আমরা কমিশনের তরফে তাদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে একটি চিঠি দেব।’ সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।