নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সুযোগ ছিল, তবে তা কাজে লাগাতে পারলেন না মার্টিন গাপটিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ানের ঘরে নাম লেখানোর আগে নব্বইয়ের ঘরে কাটা পড়লেন তিনি। তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করলেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে তিন হাজার রান করলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গাপটিলের ৫৬ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ড তোলে ৫ উইকেটে ১৭২। ছয়টি চার ও সাতটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৬ রানে থেমে যায় স্কটল্যান্ড। ১৬ রানের হারে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লো স্কটিশরা। অন্যদিকে নিজেদের দ্বিতীয় জয় নিয়ে সেমির দৌড়ে আরেক পা এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
দুই হাজার ৯৭৬ রান নিয়ে ম্যাচটি শুরু করা গাপটিল ১০৫তম ম্যাচে এসে তিন হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন। গত মার্চে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিন হাজার রান পূর্ণ করেন ভারত অধিনায়ক কোহলি। এ জন্য তার লেগেছিল ৮৭ ম্যাচ।
বর্তমানে ৯২ ম্যাচে ৮৬ ইনিংসে কোহলির রান তিন হাজার ২২৫। ১০৫ ম্যাচের ১০১ ইনিংসে গাপটিলের রান হলো তিন হাজার ৬৯। তালিকায় এই দুজনের পরেই আছেন কোহলির স্বদেশি রোহিত শর্মা। ১১৩ ম্যাচ খেলে তার সংগ্রহ ২৮৭৮ রান।
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারছিলেন না গাপটিলও। ১০ ওভার শেষে ৩০ বলে তার রান ছিল ৩৯। এরপর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।
ক্রিস গ্রিভসকে ছক্কায় উড়িয়ে অর্ধশত রান করার পর শেষদিকে স্কটিশ বোলারদের ওপর চড়াও হন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। পরের ২১ বলে করেন ৩৯ রান। একটা সময় মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় ও বিশ্বকাপে নিজের প্রথম শতকটা তার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ১৯তম ওভারে এসে ব্র্যাডলি হুইল প্রথমে গ্লেন ফিলিপকে ফেরান। এরপর ওভারের তৃতীয় বলে গাপটিলকে আউট করে দেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের পক্ষে সাফিয়ান শরিফ ও হুইল দুটো করে উইকেট শিকার করেন।
১৭৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বেশ ভালো শুরু পায় স্কটিশরা। ওপেনিং জুটিতে ২১ রানের পর অধিনায়ক কাইল কোয়েতজার ফেরেন ১১ বলে ১৭ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জর্জ মানসে ও ম্যাথু ক্রসের ৩১ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটল্যান্ড। জয়ের আশাও জাগায় এই দুই ব্যাটসম্যান। এরপর দশ রানের মাথায় মানসে ও ক্রস আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় স্কটিশরা। মানসে ১৮ বলে ২২ ও ক্রস ফেরেন ব্যক্তিগত ২৭ রানে।
একপ্রান্তে রিচি বেরিংটন চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি সোধি, বোল্টদের সাথে। ১৭ বলে ২২ রান করে তিনিও আউট হলে স্কটল্যান্ডের ক্ষীন আশাও শেষ হয়ে যায়।
তবে শেষদিকে মাইকেল লিস্কের তান্ডবে আবার আশা জাগে স্কটিশদের। শেষ ওভারে দরকার ছিলো ২৬ রান। শেষ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে আরেকটি আপসেটের জন্ম দিতে পারেনি স্কটল্যান্ড। লিস্কের ২০ বলে ৪২ রানের ইনিংসের পরেও ১৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কটিশরা।
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৭২/৫
নামিবিয়া : ২০ ওভারে ১৫৬/৫
ফল : নিউজিল্যান্ড ১৬ রানে জয়ী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।