নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপে বড় প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই প্রত্যাশার আলো নিভে গেছে। সুপার টুয়েলভ পর্যায়ে এখন অবধি খেলা চারটা ম্যাচের সবগুলোতেই হেরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা কার্যত নিয়ম রক্ষার লড়াই।
সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখে সুপার টুয়েলভে এমন নখদর্পহীন পারফরম্যান্স সত্যিই হতাশাজনক। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স এখন বিশ্ব ক্রিকেটেও আলোচনার বিষয়বস্তু। ক’দিন হল এই ইস্যুতে বেশ সরব সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। তিনি মনে করেন, বেশি মাত্রায় স্পিন নির্ভরতাই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এজন্য তিনি বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটকেও দুষছেন।
এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি), ‘বিসিবিকে আসলে ভালো মানের ফাস্ট বোলার তৈরি করতে হবে। একই সাথে ভালো ব্যাটার তৈরি করতে হবে। আপনি সবসময় টার্নিং উইকেট পাবেন না, যেখানে স্পিনাররা ভাল সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। যতটুকু জানি, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সব সময়ই স্পিনারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেখানে স্পিনাররা সুবিধা পায়, তাহলে এই সুবিধা ছেড়ে একটা খুদে ছেলে কেন পেসার হতে চাইবে। এটা ভবিষ্যতের জন্য ভাল কোনো কিছু নয়। এসব বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তন আসলে উন্নতিও হবে।’
ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের বিষয়ে ভাল ধারণা রাখেন। তিনি নব্বই দশকে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ ছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্রিকেটের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ ও টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বাড়তে শুরু করে। সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতি কখনো খেলোয়াড় হিসেবে কখনো, ধারাভাষ্যকার হিসেবে বাংলাদেশে গিয়ে দেখেছেন ওয়াসিম আকরাম।
‘স্যুইং অব সুলতান’ খ্যাত এই কিংবদন্তি মনে করেন, এই জনপ্রিয়তার সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য হলেও অবকাঠামোগত উন্নতিতে মনোযোগ দেওয়া দরকার বাংলাদেশের, ‘নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলাম আমি। তখন আমি ঢাকার আশেপাশে বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল। দেখেছিলাম তখন রাস্তার পাশের মাঠগুলোতে সবাই ফুটবল খেলছিল। কিন্তু, ২০১১ সালে যখন আবার আমি বাংলাদেশে গেলাম, তখনকার চিত্রটা ছিল পুরোপুরি অন্য রকম। তখন দেখলাম সবাই ক্রিকেট খেলায় মনোযোগ দিয়েছে, রাস্তায়-মাঠে সব জায়গায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট-পাগল একটি দেশ। তাই আমি মনে করি, তাদের কাঠামোতেও সেভাবে উন্নতি আনা উচিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।