নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলেও এতে থাকছে অ্যাশেজের উত্তাপ! টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভে আজ পরস্পরের বিপক্ষে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচকে ঘিরে ইতোমধ্যে দু’দেশের সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়েছে অ্যাশেজ উত্তেজনা। কারণ বিশ্বকাপ শেষেই ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হবে বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেুলিয়া। ব্রিসবেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই সিরিজ।
অ্যাশেজের উত্তাপ নিয়েই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে শীর্ষ স্থানে ওঠার লড়াইয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া দু’দল। এ পর্বে দু’টি করে ম্যাচ খেলে দু’টিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ফলে দু’দলেরই পয়েন্ট ৪। আজকের ম্যাচ যারা জিতবে তারাই উঠবে গ্রুপ-১ এর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করে ইংল্যান্ড। স্পিনার আদিল রশিদের স্পিন বিষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। ১৪ বল করে মাত্র ২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ। তার এমন কৃতিত্বে ৬ উইকেটের বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে ইংলিশরা। দারুণ শুরুর পর বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজ জয় পায় ইংল্যান্ড। এবারও দলের জয়ে অবদান রাখেন ইংলিশ বোলাররা। টাইমাল মিলস ৩টি ও অকেশনাল স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন ২টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ১২৪ রানে আটকে দেয়। এরপর ওপেনার জেসন রয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ৩৮ বলে ৬১ রান করেন রয়।
তবে অজিদের বিপক্ষে জিততে হলে বোলারদের পাশাপাশি ইংলিশ ব্যাটারদেরও জ্বলে উঠতে হবে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগান। গতকাল তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। এভাবে খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন কিছু নয়। আমরা তাদের হারাতেই মাঠে নামবো।’
ইংল্যান্ডের মতই স্বাচ্ছেন্দ্যে দুই ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে ও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এখন উজ্জীবিত অজিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পেছনে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা অবদান রেখেছিলেন। আর লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ে বোলারদের পাশাপাশি অবদান ছিল ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। অজিদের স্বস্তি ফর্মে ফিরেছেন ওয়ার্নার। কেননা বেশ কিছু দিন ধরে ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন তিনি। দু’টি অফিসিয়াল প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে ০ ও ১ রান করেন ওয়ার্নার। আর বিশ্বকাপ মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪ রানে ফিরেন। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেছে তার ব্যাট। ৪২ বলে ১০টি চারের মারে ৬৫ রান করেন ওয়ার্নার। ছোট ইনিংস খেললেও দলের উপকারে আসছে স্টিভেন স্মিথের অবদান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ২৮ রান করে দলকে জয়ের এনে স্বাদ দিতে পেরেছেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই দু’জন জ্বলে উঠলে মুশকিলে পড়বেন মরগানরা। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সেটাই বললেন। তার কথায়,‘ওয়ার্নার বেশ কিছু দিন পর ফর্মে ফিরেছেন। স্মিথও আছেন ছন্দে। তারা ঠিক সময়ে জ্বলে উঠলে ইংল্যান্ড ম্যাচে জয় আশা করতেই পারি। তাছাড়া বোলাররা ধারাবাহিকভাবে উইকেট নিচ্ছেন। যার প্রমাণ শেষ দুই ম্যাচ। আমরা এখন পর্যন্ত সেরা ক্রিকেটই খেলার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। আশা করছি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ের ধারায় থাকতে পারবো।’
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। যার মধ্যে ১০ ম্যাচ জিতেছে অজিরা। ইংলিশদের জয় ৮ ম্যাচে। বাকি ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে অস্ট্রেলিয়া। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় সমান জয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। সর্বশেষ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিলো তাদের। ওই ম্যাচে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।