মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মোদি সরকারের ১০০ কোটি টিকাকরণকে সর্বৈব মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রোববার রাজ্যের শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে ভাষণে তিনি পরিসংখ্যা উল্লেখ করে সরকারের দাবিকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেন।
ভারতে ১০০ কোটি মানুষের করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন বলে সদ্যই কেন্দ্রীয় সরকার পরিসংখ্যান দেখিয়ে দেশজুড়ে সাফল্যের উদযাপন করেছে। তবে পরিসংখ্যানবিদদের একাংশ হিসেবনিকেশ করে দেখিয়েছেন, কেন্দ্রের এ দাবি অসত্য। মোটেই ১০০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাননি। দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে হিসেব করলে তা ১০০ কোটির চেয়ে বেশ খানিকটা কম। এবার এ হিসেব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত রোববার শিলিগুড়িতে পুলিশের আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তার বক্তব্য, ‘ডবল ডোজ ১০০% না হলে টিকাকরণ ১০০ শতাংশ বলা যায় না। দেশের লোকসংখ্যা কত? বাচ্চাদের সংখ্যা কত? হিসেব বলছে, ২৯.৫১ কোটি ডবল ডোজ হয়েছে। মিলিজুলি করে জুমলা করে দিয়েছে কেন্দ্র’। মুখ্যমন্ত্রীর আরো দাবি, ‘সারা দেশে এখনও ৩৫ কোটি মানুষ একটা ডোজও পায়নি। বাচ্চাদের ধরলে সংখ্যাটা ৬০-৬৫ কোটি হয়ে যাবে’। গত রোববার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে পুলিশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে টিকাকরণ নিয়ে বিজেপির দাবির সমালোচনায় মুখর হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। টিকাবণ্টনে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বাংলা থেকেই টিকার উদ্ভব। এখানে একটা ডোজও নষ্ট হয়নি। সাত কোটি টিকাকরণ হয়ে গেছে। লাগবে আরো ১৪ কোটি। কিন্তু ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ হয়েছে’।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ফের অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমি টিকা চেয়ে বারবার চিঠি পাঠিয়েছি নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু এখনও বাংলায় ঠিকমতো টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে না। ওরা কাজ করে ঢাক পেটায়। আমরা বলেছিলাম, বিনামূল্যে সবাইকে টিকা দেব। দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র দেয়নি। আমরা ওদের থেকে প্রথমে টিকা কিনে তবেই দিয়েছি। টিকাকরণের পরিসংখ্যানে দেখায়, বাংলা ৩ নম্বরে। আমি পেয়েছি কম। কী করব? উত্তরপ্রদেশ টিকা পায়, মহারাষ্ট্র পায়, আমি পাব না কেন?”
আগামী সপ্তাহে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দাবি, ‘কোভ্যাক্সিন মোদির কোম্পানি। তিনি নিজেও নিয়েছেন। এ টিকা নিয়ে কেউ বিদেশে যেতে পারছে না। মোদি কী করে যাচ্ছেন’? বুধবার পর্যন্ত শিলিগুড়িতে থেকে ঝড়ে বিপর্যস্ত কার্শিয়াংসহ পাহাড়ের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার এখান থেকেই গোয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।