গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই কুমিল্লা নামে বিভাগ দিতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষকদলের আয়োজনে মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা নামে বিভাগ দিতে চান না। কিন্তু কেন? কীসের এত রাগ, এত ক্ষোভ? উনি বলেছেন কুমিল্লার নামে না দিয়ে মেঘনা আর ফরিদপুরকে পদ্মা নামে বিভাগ দেবেন। মানুষ ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার এমন বক্তব্যে কুমিল্লার মানুষ অত্যন্ত মর্মাহত। একজন ব্যক্তির প্রতিহিংসায় হাজার বছরের নাম তিনি মুছে দিতে চান কেন? দেশের মানুষকে আহত করে তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন, এটাতো হতে দেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী পায়রা ব্রিজ উদ্বোধন করতে গিয়ে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমি এত কিছু করলাম, অন্যরা চোখে দেখে না। তারা নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ঘটনার জন্ম দিচ্ছে কারা? কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার সঙ্গে আপনার ছাত্রলীগ জড়িত, মিডিয়াতে তা প্রকাশ পাচ্ছে। আর এগুলো হচ্ছে আপনার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এ অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই পূজামণ্ডপে হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছেন।
সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।