Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দোয়ারাবাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের মানববন্ধন

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১২ পিএম

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানববন্ধন করেছেন নরসিংপুর ইউনিয়নের ( ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন। নরসিংপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে ইউনিয়নের চাইরগাঁও বাজারে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ধন মিয়া, ইশ্রাঈল আলী,ফয়েজ উদ্দিন,সাজ্জাদুর রহমান,নুরুল আমিন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আফরুজা খানম ও ইউনিয়নবাসী।

বক্তারা অভিযোগের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নুর উদ্দিন আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন।নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে যান না।নিয়মিত সভা করেন না। ফলে সাধারণ মানুষ তাঁকে কাছে পায় না।বিজিডি কার্ডের সাথে গর্ভবতী বিজিএফ সহ সকল ভাতার কার্ড কর্মীদের মাধ্যমে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে সুবিধাভোগীদের নিকট হতে আদায় করেন, যা সরকার কোনো ফিস ছাড়া ফ্রি দিয়েছেন।

মানববন্ধনে আরো অভিযোগ করা হয়,গত অর্থবছর থেকে আজ পর্যন্ত পরিষদের ট্যাক্স, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কর ইত্যাদি থেকে আদায় করা অর্থ'র আয় ব্যায়'র হিসাব ইউপি সদস্যদের জানানো হয়নি, এমনকি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।

তিনি চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কোনো প্রকার সভা না করে প্রকল্প তৈরি করে পিআইও অফিসে জমা দেন। এডিবির প্রকল্পের বিষয়ে পরিষদের কাউকে কিছুই জানানো হয়নি। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে পরিষদে আলোচনা না করে ট্যাক্স আদায় শুরু করেছেন। ইউপি সদস্যদের সমালোচনার মুখে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও কিছু কর্মীকে আদায়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু ট্যাক্স আদায়ের কতটি বই তৈরি করেছেন তা সদস্যদের জানানো হয়নি। ভিজিডি কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বর্ষের কার্ডের ব্যাপারে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং না করে চেয়ারম্যান নিজেই ভাগ করে দেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ কার্ড কর্মীদের মাঝে বণ্টন করেন। সরকারি সকল ধরনের অনুদান বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেন। ইউ/পি সদস্যদের সাথে অশালীন আচরণের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে নিষেধ করেন

এছাড়াও তিনি,ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নেতরছৈই গ্রামে একই কাজে দুটি অর্থ বছরের দুই প্রকল্পের বিল উঠিয়ে ২ লক্ষ বিশ হাজার টাকা,৬ নং ওয়ার্ডের নেতরছৈই হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় বাউন্ডারি দেওয়ালের নামে প্রজেক্ট করে, টি আর প্রকল্পের ২ লক্ষ ২৫ হাজার,এডিপি প্রকল্পের ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯শত সরকারি টাকা। ২ নং ওয়ার্ডের খাইরগাঁও গ্রামে বক্স কালভার্ট মেরামতের নামে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা,দ্বীনেরটুক গ্রামে পাঁকা রাস্তার নামে ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৭'শত টাকা ও মাটি ভরাটের নামে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ৩ নং ওয়ার্ডের নাছিমপুর বাজারের পাশে কাজ ছাড়া প্রজেক্ট দেখিয়ে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
ইউনিয়ন পরিষদের ভূয়া রশিদ দিয়ে জনগনের কাছ হতে আদায়কৃত টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে প্রতি মাসে ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
পূর্ব সোনাপুর ও পূর্বচাইরগাঁও খেয়াঘাট নিলামের নামে ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা না দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ।
নরসিংপুর বাজারে স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর ক্ষমতার ধাপটে ২ কোটি টাকার মূল্যের জায়গা দখল ও ২০১৮ সালে ১২০ বস্তা চাউল চুরির অভিযোগে (মামলা চলমান)জেল জরিমানার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
চেয়ারম্যান সাহেব মনগড়াভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন বলে ইউপি সদস্যদের দাবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানববন্ধন

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ