নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যাঙ্গারুদের ট্রফি ক্যাবিনেট যদি ভালো করে দেখা যায়, দেখা যাবে একটা বড় ট্রফিই তাদের অধরা, সেটা হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এই অধরা মাধুরী এখনও খুঁজে চলেছে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আবার তা পূরণের লক্ষ্যে নামবে, কিন্তু ছুঁতে কী পারবে সেই বিশের বিশ্বকাপের ট্রফি? লাখ টাকার প্রশ্ন সেটাই। সেই লক্ষ্যপূরণের প্রথম ধাপে আজ মুখোমুখি হতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।
একটা সময় তাদের নামের সাথে বসানো হতো ‘চোকার্স’ ট্যাগ। বছর ২৫ ধরে মোটামুটি এই রীতিই চলে এসেছে আফ্রিকার সেরা এই দলের জন্য। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে বদল হয় সবকিছুতেই, সেই বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকা এখন কালের নিয়মে যদিও সাধারণ দল। তবুও যেকোন দলকে হারানোর ক্ষমতা আছে তাদের।
একটা সময় দারুন সব মহাতারকার ভিড়ে রাজত্ব করা দক্ষিণ আফ্রিকা এখন সেই সোনালি প্রজন্মকে শুধুই হাতড়ে বেড়ায়, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্যালিস, স্মিথ, গিবস, পোলক, স্টেইন, ক্লুজনার, ডোনাল্ডদের যুগ অস্ত গিয়ে সেই সোনালি সুদিন আবারও ফেরানোর আশায় প্রোটিয়া ক্রিকেটের হাল ধরেছেন ডি কক, বাভুমা, রাবাদা, শামসিরা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কী দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ঘুরে দাঁড়ানোর টুর্নামেন্ট হবে নাকি বারবার বেদনা নিয়ে জোহান্সবার্গের বিমান ধরা দলটা এবারও সেই একই কাহিনী শোনাবে? অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচের পরেই তার একটা আন্দাজ করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে তাদেরকে নিয়ে বিরাট কোনো আশার কারণ নেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা বাংলাদেশ দু’জায়গাতেই ৫ ম্যাচের সিরিজে কচুকাটা হতে হয়েছে ক্যাঙ্গারুদের, তার সাথে আছে আবার বাংলাদেশের কাছে ৬২ রানে অলআউটের লজ্জা। যদিও এ বছরের অনেক ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া কখনো ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল, স্মিথ কিংবা ফিঞ্চদের ছাড়া নামতে বাধ্য হয়েছে, আর এই সাম্প্রতিক পারফরমেন্স এ তাদের রিজার্ভ বেঞ্চ যে আর আগের মত মোটেই শক্তিশালী নয় তা বোঝা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তির সবচেয়ে বড় জায়গা যদি বলা যায় সেটা হলো তাদের বোলিং। ৩ ফাস্ট বোলার স্টার্ক, কামিন্স ও হ্যাজেলউড এবং দুই স্পিনার জাম্পা ও অ্যাশটন আগার যদি তাদের সেরাটা দিতে পারেন, অজি বোলিং সামলানো বিপক্ষের কাছে যথেষ্টই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া পিচ স্লো হয়ে আসতে থাকলে আগার, মিচেল সোয়েপসন ও জাম্পা আরো বেশি কার্যকরী হতে পারেন। ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে বলা যায় ফিঞ্চ-ওয়ার্নার ওপেনিং জুটি ও মিডল ওভারে ম্যাক্সওয়েল দলের নিউক্লিয়াস। এছাড়া মিচেল মার্শের দারুন ফর্ম অস্ট্রেলিয়ার আশীর্বাদ হতে পারে, এর পাশাপাশি পঞ্চম বোলারের কাজটাও মার্শ আর ম্যাক্সওয়েলকে ভাগাভাগি করে নিতে হতে পারে।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর খেলা ৫১ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে ২৭টাতেই। এছাড়া এ বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার ফর্ম ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মরু দেশে মাঠে নামলে এ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকার ঘুরে দাঁড়ানোর সেরা মঞ্চ হতেই পারে।
ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি কক, মিডল অর্ডারে রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও বল হাতে কাগিসো রাবাদা ও তাবরেজ শামসি গত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বড় ভরসা। নিয়মিত চমৎকার পারফরমেন্স করে চলা এই চার জনের ওপর বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবে প্রোটিয়া বাহিনী। গত ২ বছরে ডি ভিলিয়ার্স এর ফেলে যাওয়া শূন্যস্থান কিছুটা ভরাট করার চেস্টা করে যাচ্ছেন ভ্যান ডার ডুসেন। এর পাশাপাশি চায়নাম্যান বোলার তাবরাইজ শামসি আমিরশাহীর কন্ডিশনে হতে চলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিংয়ের তুরুপের তাস।
এর পাশাপাশি মারক্রাম ও রিজা হেনড্রিক্স ও ব্যাট হাতে যথেষ্ট কার্য্যকরী। বিশ্ব সেরা ফাস্ট বোলারদের তালিকায় থাকা কাগিসো রাবাদাও আছেন দলটিতে। এর আগে আমিরশাহীতে আইপিএল এ চমৎকার পারফরমেন্স করে গেছেন রাবাদা, ফলত এই কন্ডিশনে ঠিক কেমন বোলিং দরকার তা তার নখদর্পনে। রাবাদা, নরকে, এনগিডি, শামসি, মহারাজকে নিয়ে গড়া বোলিং লাইন আপ যথেষ্ট উঁচু মানের।
দু’দলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় অজিদের ১৩ জয়ের বিপরীতে প্রোটিয়াদের জয় ৮ ম্যাচে। আবার টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে একটিমাত্র মুখোমুখি দেখায় শেষহাসি অস্ট্রেলিয়ার। সবশেষ পাঁচ দেখায়ও ৪ জয় অজিদের। তবে নিজেদের দিনে জিততে পারে যেকেউ। তাই ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের করে নিতে ভালো খেলার বিকল্প নেই।
মুখোমুখি
ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া দ.আফ্রিকা
২১ ১৩ ৮
বিশ্বকাপে ১ ১ ০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।