প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১০ সালে তেলেগু ভাষার ‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন নাগা চৈতন্য ও সামান্থা। সিনেমার সেটেই তাদের প্রথম পরিচয়। তারপরই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। এরপর লুকিয়ে দীর্ঘদিন প্রেম করেন এই জুটি। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
জানা গেছে, বিয়ের পরও অভিনয় চালিয়ে যেতে চাইছেন সামান্থা। কিন্তু পর্দায় তার খোলামেলাভাবে উপস্থিতি পছন্দ করছিলেন না নাগা চৈতন্য ও তার বাবা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। আর এজন্যই তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এখন তা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়িয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন নাগা ও সামান্থা। শনিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে নাগা একটি বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘অনেক আলোচনা ও চিন্তার পর সামান্থা ও আমি স্বামী স্ত্রী হিসেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের এক দশকের বেশি বন্ধুত্ব, যা আমাদের সম্পর্কের মূল বিষয় ছিল। আশা করছি এটিই আমাদের বন্ধন টিকিয়ে রাখবে।’
এই অভিনেতা আরো লিখেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে সহযোগিতার ও প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য আমাদের ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও মিডিয়াকে ধন্যবাদ। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ সামান্থাও ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে এই বিবৃতি পোস্ট করেছেন।
অবশেষে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন নাগা চৈতন্য ও সামান্থা আক্কিনেনি। শনিবার (২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে জানিয়েছেন ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় এই জুটি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ডিভোর্সের পর খোরপোশের ২০০ কোটি রুপি নাগার কাছ থেকে নেবেন না সামান্থা। আক্কিনেনি পরিবার থেকে তিনি কোনো আর্থিক সহযোগিতা নিতে চান না। কারণ তিনি নিজেই স্বাবলম্বী। এছাড়া নাগার কাছ থেকে অর্থ নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন এই অভিনেত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।