প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বর্তমানে বলিউডের পাশাপাশি ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা গুলিও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। আর এই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন থালাপতি বিজয়। বর্তমানে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে অনেকেই মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের পরে তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র সুপারস্টার। সম্প্রতি একটি ঘটনার মাধ্যমে তিনি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। জানা গেছে তিনি নিজের বাবা-মার নামে তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবর, বাবা-মাসহ তার সাবেক কর্মকর্তা যেন বিজয়ের নাম অথবা তার ফ্যান ক্লাবের নাম রাজনৈতিক দলে ব্যবহার করতে না পারেন, সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন বিজয় আদালতে মামলা করেছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরো জানা যায়, বিজয়ের বাবা এসএ চন্দ্রশেখর ‘অল ইন্ডিয়া থালাপাতি বিজয় মাকল আইয়াকাম’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন বিজয়ের বাবা এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন তার মা শোভা চন্দ্রশেখর। বিজয়ের অভিযোগ, বিজয় ফ্যান অ্যাসোসিয়েশন নামে যে ফ্যান ক্লাব রয়েছে, ২০২০সালে সেটিকে রাজনৈতিক দলে রূপান্তর করেছেন তার বাবা-মা। আর সেই কারণে বাবা-মাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
বিজয়ের বাবা এস এ চন্দ্রশেখরের ভাষ্য, বিজয় বর্তমানে একটি ‘বিষাক্ত’ চক্রের মধ্যে আটকে আছেন এবং তার সঙ্গে যেসব ব্যক্তি আছেন তারা বিজয়ের জনপ্রিয়তাকে ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহার করছেন। তারাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে বিজয়ের বাবা যা করছেন, তা অভিনেতার বিরুদ্ধে।
তবে আরো আগে বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সাবধান করেছিলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির তারকা। ২০২০ সালের নভেম্বরে বিজয় একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন- আমার বাবার দেওয়া রাজনৈতিক বিবৃতির সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার ভক্তদের অনুরোধ করছি, আমার বাবা যে পার্টি শুরু করেছেন তাতে যোগ দেবেন না। যদি কেউ রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্য আমার ছবি, নাম বা আমার ফ্যান ক্লাবের অপব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
বিজয় থালাপতির আসল নাম হল জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর, তবে ভক্তরা তাকে থালাপতি বিজয় নামেই চেনে। এখনো পর্যন্ত যে ক’টি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন সেই সব কটি দারুণভাবে হিট করেছে। তিনি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন তখন রজনীকান্তের হাত ধরে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৫ সালে ‘নান সিবাপু মনিথন’ নামক একটি ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন বিজয়। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিল বিজয়।
এখন বড় পর্দায় তার ছবি মানে ব্লকবাস্টার হিট, এই কারণেই যেকোনো পরিচালক-প্রযোজক কেউই তার পেছনে টাকা খরচ করতে দুবার ভাবেন না। জানা যায় দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার দের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন যার পারিশ্রমিক প্রতি সিনেমা ১০০ কোটি টাকা। দর্শকদের কাছে তার স্টাইল, কথা বলার ভঙ্গি সবকিছুই বেশ জনপ্রিয়। তার মহিলা ভক্তের সংখ্যা অগনিত তাই তার সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই সকলের মধ্যে একটি ক্রেজ লক্ষ করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।