বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার। এদিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ পরীক্ষা। এবার প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরের সাতটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট আট বিভাগে ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া রাজধানীর বাইরে আরো ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে এবারের ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (রংপুর) হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাকি গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ অক্টোবর, ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৩ অক্টোবর এবং চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (বহুনির্বাচনী) ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ‘খ’ ইউনিটে এবার মোট আবেদনকারী ৪৭ হাজার ৬৩২ জন। এর বিপরীতে আসনসংখ্যা ২ হাজার ৩৭৮টি, আসনপ্রতি প্রতিদ্ব›দ্বী করেছেন ২০ জনের বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়, এবারের ‘খ’ ইউনিটে মোট আবেদনকারীর ১৮ হাজার ৮৫০ জন ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাসে। তাছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৩৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮৫২ জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৭২ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ২০৪ জন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২১ জন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭৪১ জন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৬১৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।
এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরাণীগঞ্জ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থীর আবেদনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ দেয়ায় ওই পরীক্ষার্থীর ইচ্ছা বাস্তবায়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সূত্রে জানা যায়, ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেই শিক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের রায় ছিল, তার ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না। এরই পেক্ষিতে কারাগারেই সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রক্টর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দু›জন শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্যের তত্ত¡াবধায়নে এবং কারাগার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও একটি কেন্দ্রে হাত না থাকায় পায়ের সাহায্যে সম্পূর্ণ পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে এক শিক্ষার্থীকে।
এদিকে প্রশ্নপত্র তুলনামূলক কঠিন হওয়ায় পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের চেহারায় দেখা গিয়েছে হতাশার ছাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনিয়ররাও বলছেন, এই দশকের সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নপত্র ছিল এটা। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীকে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায়। এসময় কান্নারত এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালোই ছিল কিন্তু প্রশ্নপত্র এত কঠিন হবে ভাবিনি। আকবর নামক এক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী বলেন, বাড়িতে বসে পড়াশোনা করেছি, অনলাইনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছি, একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল কিন্তু প্রশ্নপত্র আমার ধারণার বাইরে কঠিন হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার শুরুর আধা ঘন্টা পর পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম না। পুরো সময়টা ধরেই কলম মুখে দিয়ে বসে ছিলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।