গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আলোচনা কিংবা কোন ধরণের সমঝোতায় না গিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করার পক্ষে মত দিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তৃণমূল নেতাদের সাথে হাইকমান্ডের বৈঠকে এই মত দেন তারা। এদিন বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগের বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতিদের সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছাড়াও ৮৫ জন তৃণমূলের নেতার উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে- আবদুল খালেক, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, রফিক শিকদার, মঞ্জুরুল আহসান, জাহাঙ্গীর আলম, মমিনুল হক, এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা খান সফরী,মাহবুব ইসলাম মাহবুব কাজী রফিক, শেখ মোঃ শামীম, খন্দকার মারুফ হোসেন, একরামুল হক বিপ্লব, সাবরা,আলাউদ্দিন হেনা,জিয়াউদ্দিন, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, জিল্লুর রহমান, সিরাজুল হক,রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সুলতান মাহমুদ বাবু,মাহমুদুল হক রুবেল, ইকবাল হোসেন, রফিককুল ইসলাম ইলালী,লায়লা বেগম, শামসুজ্জামান মেহেদী, আরিফা জেসমিন, রাবেয়া আলী, ডাক্তার আনোয়ার হোসেন, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মোঃ ইকবাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবু কাহেরে শামীম, শাহ মোস্তফা, মজিবুর রহমান, হাসনা আক্তার সানু,গোলাম হায়দার, কাজী মফিজুর রহমান, ফোরকান ই আলম,সাচিং প্রু জেরী,মামুনুর রশিদ মামুন, হুম্মাম কাদের, ডাক্তার মাজহারুল ইসলাম, সুশীল বড়ুয়া, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মশিউর রহমান, ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, শাহ আলম, আবু সুফিয়ান,ন্যামাসিং মাহফুজল্লাহ ফরিদ, জেড এখন মর্তূজা চৌধুরী তুলা,এ জেড এম রেজওয়ানুক হক,আখতারুজ্জামান মিয়া,বিলকিস ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আমিনুল ইসলাম, মীর্জা ফয়সাল, ফরহাদ হোসেন আজাদ, হাসান রাজিব প্রধান, জহিরুল বাচ্চু, মোঃ শামসুজ্জামান সাবু,গফুর সরকার প্রমূখ। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সাহলে প্রিন্স। সভা পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
সভা সূত্রে জানা যায়, ৫ বিভাগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার সভাপতিগণ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনের পক্ষে মত দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা শুরুতে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে ধীরে ধীরে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের আলোচনা ও আপোষ না করার কথা বলেছেন বেশিরভাগ নেতাই। তারা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনায় বসেছিলেন কিন্তু তার ফলাফল শূণ্য হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফলাফল কি হবে তা বিগত নির্বাচনের দিকে তাকালেই দেখা যাবে। এজন্য তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকারের পতনের জন্য রাজপথের বিকল্প না ভাবতে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ত্যাগী ও যোগ্যদেরকে মূল্যায়ন করারও দাবি জানান জেলা ও নির্বাহী কমিটির নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।